দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন এমন একটি দ্রুতগতির প্লেন নির্মাণ করতে চান যা যাত্রীদের নিউইয়র্ক থেকে টোকিও পৌছে দেবে মাত্র একঘণ্টায়। তিনি মনে করেন, প্রযুক্তির এই সময়ে এই রকম যান তৈরি করা সম্ভব।
সিএনবিসির কাছে দেওয়া তার একান্ত সাক্ষাৎকারে তার এই মনোভাবের কথা তিনি প্রকাশ করেন। তিনি আরো জানান, তার কোম্পানী বর্তমানে ভার্জিন গ্যালাকটিক স্পেস ট্যুরিজম প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে। এই প্রজেক্টের লক্ষ্য হল এমন ধরনের সুপারসনিক বাণিজ্যিক প্লেন তৈরি করা যা ঘণ্টায় ১৯০০০ মাইল অতিক্রম করতে পারে। তিনি বলেন, আমরা যদি এর স্পেস প্রোগ্রামটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারি তবে আমাদের পক্ষে সুপারসনিক প্লেন নির্মাণ করা সম্ভব। যা হবে কনকর্ড বিমানের চেয়ে অনেক বেশি গতিসম্পন্ন। নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন যেতে সময় লাগে তিনঘণ্টা। কনকর্ড ছিল প্রথম বাণিজ্যিক দ্রুতগতির বিমান যা আজ থেকে দশ বছর আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন তার জীবদ্দশায় এমন একটি বিমানে পরিভ্রমণ করতে চান যা কনকর্ডের চেয়ে বেশি দ্রুত ভ্রমণ করতে পারবে। তাই তিনি একটি স্পেস কোম্পানীর সাথে যৌথভাবে দ্রুতগতির বিমানের চেষ্টা করছেন।
তিনি সিএনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, যদি আমরা এই প্রজেক্টে সফলতা অর্জন করতে পারি তবে আমরা একঘণ্টায় নিউইয়র্ক থেকে টোকিও ভ্রমণ করতে পারবো। তিনি বলেন, ১৯৮০ সালের বাচ্চাদের জন্য গ্যালাকটিক শো থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি এই প্রজেক্টটির নাম দিয়েছেন ভার্জিন গ্যালাকটিক। উদ্যোক্তারা এর জন্য একটি বালককে বাহবা দিচ্ছে, বালকটির নাম শিহান। ব্রানসন বলেন, এই বালকটি তার এই কাজের অনুপ্রেরণা যে কিনা চেয়েছিল এমন একটি দ্রুতযানে আরোহণ করতে যেন একই যানে করে পৃথিবী ও অন্তরীক্ষে ভ্রমণ করা যায়। ভার্জিন গ্যালাকটিক প্রজেক্টের সাথে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে ৭০০ মানুষ যাদের অনেকে ব্যবসায়ী, হলিউড সেলিব্রেটি।
তথ্যসূত্রঃ ডেইলিমেইল