দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার পাওয়া গেলো ভুয়া অপহরণের কাহিনী। অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই শেষ পর্যন্ত ফেঁসে গেলেন এক ব্যক্তি! এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটির মূল নায়ক রাজধানীর ওয়ারীর শাহীন হাওলাদার।
অপহরণের ঘটনায় মানুষ আজ উদ্বিগ্ন। কিভাবে এই অপহরণের মতো প্রাণঘাতী থেকে জাতিকে রক্ষা করা যায় সে চিন্তায় সকলেই যখন মত্ত। ঠিক সে সময় নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য অপহরণ কাহিনী সাজিয়েছেন রাজধানীর এক ব্যক্তি। বড়ই বিচিত্র এই সমাজ!
ওয়ারীর শাহীন হাওলাদার (৪৫) প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও শাশুড়িকে দিয়ে অপহরণ নাটক সাজিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নাটক ধরা পড়ে গেছে পুলিশের কাছে। উল্টো ফেঁসে গেলেন নিজেই।
জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারিতে ২৬ বনগ্রাম ওয়ারী এলাকার শাহীন হাওলাদার পরিবারের ৫ সদস্যকে অপহরণ করা হয়েছে বলে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয়- আফতার, তপন, জাকারিয়া, ইলিয়াস ও রিজুকে। পরে আদালত মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয় ওয়ারী থানাকে।
এই মামলার দীর্ঘদিন বিষয়টি তদন্ত করেও কূল-কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডেমরা থানার কোণাপাড়ার বাচ্চু ভাণ্ডারীর বাড়ি থেকে কথিত অপহরণকৃত ওই ৫ জনকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃতরা হলো- শাহীন হাওলাদারের স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা রিমি (৩৬), মেয়ে ফারজানা রাজ রিয়া (১৮), জামিলা সুলতানা ঐশী (১৫), ছেলে মো: হোসেন আল গনি (দেড় বছর) ও শাশুড়ি আফরোজা খানাম হেনা।
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সাহা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, উক্ত শাহীন হাওলাদার তার পরিবারের ৫ জনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে যে মামলা করেছিলো সেই অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, মামলার বাদীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই শাহীন হাওলাদার এ মামলা করেন। খবর বাংলাদেশ নিউজ২৪।
উল্লেখ্য, গত ১ মে থেকে শাহীনের পরিবার কোণাপাড়ার বাচ্চু ভাণ্ডারীর বাসা ভাড়া নিয়ে রয়েছে। মাত্র ১ মাসের জন্য তারা ওই বাসাটি ভাড়া নেয়। মাস শেষ হলেই অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা ছিল। আর এভাবেই ফেব্রুয়ারি থেকে তারা বাসা বদল করে অপহরণ নাটক করে আসছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ।