দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়াতে ২০১৪-১৫ সালের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন ও বর্ডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী স্কট মরিসন গত ১৩ মে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক ভিসা কার্যক্রম এই ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
মাইগ্রেশন প্রোগ্রামটি চালু করা প্রসঙ্গে স্কট মরিসন বলেন, আমাদের সরকার এই মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চায় যে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং দক্ষতামুলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা একটি অগ্রসরমান জনগোষ্ঠী তৈরি করতে চাই। এই মাইগ্রেশন প্রোগ্রামটির বাজেটের ক্ষেত্রে ৬৮ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে, দক্ষতামূলক কর্মী এবং শ্রমবাজারের জন্য শ্রমিকের নিয়োগ জন্য স্পন্সরড ভিসা। শ্রমবাজারের শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব অগ্রাধিকারমূলক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে তারমধ্যে রয়েছে মাইগ্রেশনের পর কাজ খুজে দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা। তবে এই ব্যবস্থায় অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় কর্মীদের মূল বিবেচ্য হিসেবে গণ্য করা হবে অর্থাৎ এটি যেন তাদের কাজের কোন ক্ষতি না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।
২০১৪-১৫ মাইগ্রেশন প্রোগ্রামে মোট মাইগ্রেট করা হবে ১৯০০০০। তারমধ্যে ১২৮৫৫০টি হবে দক্ষতামুলক মাইগ্রেশন, ৬০৮৮৫টি হবে ফ্যামিলি মাইগ্রেশন এবং ৫৬৫টি মাইগ্রেশন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বিশেষ বিবেচনার ক্ষেত্রে। বাকী ৪০০০ মাইগ্রেশনকে রাখা হয়েছে পারিবারিক ধারাপ্রবাহ বজায় রাখার জন্য। এই ব্যবস্থাটি বিগত মাইগ্রেশন ব্যবস্থাপনার একটি বিস্তৃত রূপ এটি আসলে বিভিন্ন সামুদ্রিক পথে অবৈধ পথে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশাধিকারকে বৈধ করার একটি উপায়। এরফলে অস্ট্রেলিয়া সরকারের ২৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে। তবে এই ব্যবস্থাটির মাধ্যমে ভবিষ্যতের এই ধরনের প্রেক্ষাপটকে জোরালোভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
আপনি যদি এই ইমিগ্রেশন প্রোগ্রামে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে এই ক্ষেত্রে আইনগত এবং আইনসঙ্গত সকল তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারে এডুএইড। এই প্রতিষ্ঠানটি বিগত কয়েকবছর যাবত অস্ট্রেলিয়ায় ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে সহযোগিতায় বেশ ভালো সুনাম কুড়িয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে এডুএইডের অনলাইন অ্যাকসেসমেন্টের জন্য ক্লিক করুন এখানে।