দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডার মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের আরও ২ সহযোগীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অপরদিকে গতকাল নূর হোসেনের কথিত ‘বান্ধবী’ কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবার ছেড়ে দিয়েছে।
জানা যায়, গতকাল রবিবার রাত ১২টায় দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি এলাকা থেকে স্থানীয়রা শিপন ওরফে শ্যূটার শিপন ও আতিক নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আটককৃতরা নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও তার মাদক ব্যবসা দেখভাল করতেন বলেন জানা গেছে।
এ পর্যন্ত নূর হোসেনের সহযোগী, বাবুর্চি ও গাড়ি চালকসহ অন্তত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে ৭ হত্যার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও এই মামলায় অভিযুক্ত ৬ জন।
এদিকে গতকাল রবিবার নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রধান আসামী নূর হোসেনের কথিত ‘বন্ধবী’ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাকে আটকের প্রায় ৩ ঘণ্টা পর আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়ছে। তবে তার কাছ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে কিনা তা জানানো হয়নি।
জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ফেরার পথে সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা নূর হোসেনের অতি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের ঘটনার পর তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। তিনি গণমাধ্যমের কাছে বলেছিলেন- নূর হোসেন বিয়ে না করে তাকে শুধু রক্ষিতা করে রাখতে চেয়েছিলেন। নূর হোসেন ৩৫ লাখ টাকার গাড়িও তাকে উপহার দিতে চেয়েছেন কিন্তু তিনি না গ্রহণ করেননি। তিনি এও বলেন, নূরের কারণেই স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হন তিনি। তার স্বামীর জীবন বাঁচাতেই তিনি এই কর্মটি করেছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান নীলা।