দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোরবানির পশু জবাই, মাংস থেকে চামড়া ছাড়ানোসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য রামদা, ছুরি, চাপাতি প্রভৃতি তৈরি ও পুরনো যন্ত্রপাতি ধার দেওয়ার কাজে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কামাররা।
ঈদ আসন্ন তাই দা, ছুরি, বঁটির বাজারে পশু জবাই এবং চামড়া ছাড়ানোর জন্য উপযুক্ত সরঞ্জাম তৈরি করতে রাতদিন পরিশ্রম করছেন কামাররা। হাতুড়ির ছন্দে তৈরি হচ্ছে চকচকে ধারালো দা, চাপাতি, ছুরি, বঁটি। কসাই থেকে শুরু করে মাওলানা, মুন্সি আর মুসলিম জন সাধারণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কামার পরিবারগুলো এখন ব্যস্ত দা, ছুরি তৈরি ও মরিচা বা জং ধরা অস্ত্র শান দিতে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে অনেক কামার সমপ্রদায়। তারা ঈদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দিনরাত কাজ করছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কামারদের ব্যস্তার খবর তুলে ধরা হলো।
আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
উপজেলায় বর্তমানে ১০-১৫টি কামারশালা টিকে রয়েছে। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে পাঁচশতাধিক লোক। কোরবানির ঈদ এলে তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায়। এ সময় আয়-রোজগারও ভালো হয়। প্রতিটি দা,বঁটি, ছুরি শান দেওয়ার জন্য বছরের অন্যান্য সময়ের মতো ৬০ টাকা করে নিচ্ছেন তারা।
ঈশ্বরদী
ঈশ্বরদী বাজার, রেলগেট, ইপিজেড গেট, সাহাপুর লক্ষ্মীকুণ্ডা, পাকশী, আরামবাড়িয়াসহ প্রায় ১৫টি স্থানে কামারশালা আছে। এসব কামারশালায় কর্মরত কামারদের এখন নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। কামার আজিজুল হক বলেন, রাত ১০-১১টা পর্যন্ত কাজ করেও অর্ডারের কাজ শেষ করতে পারছি না। কোরবানির ঈদ এলেই তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। মাংস কাটার ছোট-বড় ছুরি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বঁটি, চাপাতিও বিক্রি হচ্ছে ভালো।
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম)
রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২১টি হাটবাজারে দা ছুরিতে শান দেওয়ার কাজ চলছে। অধিকাংশ কামার ছুরিতে সান দেওয়ার নতুন কাজ নিচ্ছেন না। রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা দোভাষি বাজার ও লিচুবাগানে ৬টি কামারের দোকানে দা ছুরিতে সান দিতে আসা লোকজনের ভিড় বেড়েছে। লিচুবাগানের জনপ্রিয় ধনা দাশের কামারের দোকানে দা ছুরি শান দেওয়া ও নেওয়ার জন্য লম্বা লাইন দেখা যায়।