দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার সরকার গঠনের পর প্রথম সফর হিসেবে বাংলাদেশ সফরকেই বেছে নিয়েছেন। মোদীর ঢাকা সফরেই হতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি।
মোদির প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বিদেশ সফর ঢাকা সফর দিয়েই শুরু করতে চান এবং এই সফরেই তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি হতে যাচ্ছে বলেই দাবি করছে ভারতের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম বিজনেস ষ্ট্যাণ্ডার্ড। ইতিমধ্যে ভারতের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনে এই বিষয়ে আলাপ হয়েছে।
বিজনেস ষ্ট্যাণ্ডার্ড কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানায়, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের এই দীর্ঘ ফোন আলাপে, মোদি শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে তিনি তার দ্বিতীয় জন্মভূমি হিসেবেই দেখেন। এছাড়া তিনি চান প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাথে একটি সুন্দর সু-সম্পর্ক। এক্ষেত্রে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে মোদি নিজেই বলেন, এটি আর ঝুলিয়ে রাখার প্রয়োজন নেই। এসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
ভারতের কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি আরো জানায়, নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে সিকিম এর মুখ্যমন্ত্রীর সাথে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। কারণ তিস্তার পানি সিকিম হয়ে পশ্চিম বঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এছাড়াও মোদির সফরেই হয়ে যেতে পারে ত্রিপুরা-আসামের সাথে বাংলাদেশের ভূমি সম্পর্কিত জটিলতার অবসান। বাংলাদেশ হয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত প্রদেশ সমূহের ট্রানজিট।
উল্লেখ্য, ভারতের বিগত ইউপিএ জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশের সাথে মনমোহন সিং এর সরকার তিস্তা চুক্তি করতে আগ্রহী হলে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্য মন্ত্রী মমতার বাঁধায় তা আর সম্ভব হয়নি। তবে এবার বিজেপি সরকার একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাওয়ায় চুক্তি স্বাক্ষরে সরকারের তেমন কোনও বাঁধা নেই।
এদিকে ভারতের নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হলে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। নরেন্দ্র মোদি আগামী ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন।