দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন অনেকেরই হয়ে থাকে যে, মাঝে মাঝে ভয় পেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠে। দুঃস্বপ্ন এই হঠাৎ জেগে উঠার পেছনে কাজ করে থাকে। দুঃস্বপ্ন শুধুমাত্র ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় তা নয় বরং কখনো কখনো তা আমাদের মানসিক ক্ষতিরও কারণ হয়ে থাকে। এই ধরনের দুঃস্বপ্ন কিংবা খারাপ স্বপ্নগুলো বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকতে পারে।
আজ আমরা দি ঢাকা টাইমসের পাঠকদের জন্য তুলে ধরবো কেন আমরা মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্ন কিংবা খারাপ স্বপ্নগুলো দেখে থাকি।
১. দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ
দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ হলো দুঃস্বপ্ন দেখার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন ফর স্টাডি অব ড্রীমস এর একটি গবেষণায় দেখা যায়, কেও যদি তার খুব প্রিয় কাওকে হারায়, কিংবা কোন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে তবে এগুলো দুঃস্বপ্ন কিংবা খারাপ স্বপ্ন আকারে ঘুমের জগতে হানা দেয়।
২. মসলাযুক্ত খাবার
মসলাযুক্ত খাবার কখনো কখনো মস্তিস্কে প্রভাব ফেলে তা আমাদের দুঃস্বপ্নের কারণ হয়। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সাইকোলজির একটি গবেষণায় এই তথ্য জানা গিয়েছে। একদল স্বাস্থ্যবান মানুষের খাবারে মসলার তারতম্য করে তাদের বিভিন্ন সময়ের ঘুমের উপর পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় যে, খাবারে মসলার আধিক্যও ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে।
৩. উচ্চ চর্বি কিংবা প্রোটিনযুক্ত খাবার
কিছু কিছু নিউরোলজিক্যাল গবেষক মনে করেন, উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার এবং উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার মস্তিষ্কের স্বাভাবিক পরিচালনকে ব্যাহত করে। এরফলে ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখে থাকেন অনেকে। সাম্প্রতিক সময়ের একটি গবেষণা জরিপে দেখা গিয়েছে জাংক ফুড খাওয়া ব্যক্তিরা প্রায় সময়ে দুঃস্বপ্নে দেখে থাকেন।
৪. অ্যালকোহল
দুঃস্বপ্ন দেখার পেছনে সবচেয়ে বেশি জোরালো ভূমিকা রাখে অ্যালকোহল সেবন। অ্যালকোহলপায়ীরা এমনিতেই গভীর ঘুমে থাকেন। এই সময়ে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক মেকানিজম ব্যাহত হয়ে থাকে। ফলে মানুষ দুঃস্বপ্ন দেখে থাকে। একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, মানুষ সাধারণত গভীর ঘুমেই দুঃস্বপ্ন দেখে থাকেন।
৫. ওষুধ সেবন
কিছু কিছু ওষুধ রয়েছে যা খেলে মানুষ দুঃস্বপ্নে আক্রান্ত হয়ে থাকে। মানসিক হতাশা দূর করার জন্য নিউরো ডাক্তাররা গভীর ঘুমের ওষুধ দিয়ে থাকেন। বার্বিচুরেটস, ন্যাক্রোটিক্স গোত্রের ওষুধগুলো মস্তিষ্কে তীব্র প্রভাব ফেলে। ফলে এর ব্যবহারকারীরা দুঃস্বপ্নে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
তথ্যসূত্রঃ ডিভাইনক্যারোলিন