দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গবেষণায় দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ নারীই তাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি পুরোটা ব্যবহার করেন না। কেননা তাদের বেশিরভাগই চাকরি হারানোর ভয়ে ভীত থাকেন। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে তাদেরকে তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসার তাগাদা দেওয়া হয়।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল চাইল্ডবার্থ ট্রাস্টের গবেষণায় এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে। তারা তাদের গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন যে, প্রায় ৪৩ শতাংশ নারীই তাদের মাতৃত্বকালীন ছুটির মধ্যে থাকাকালীন সময়ে তাদের কর্মস্থল থেকে কাজে যোগদানের তাগাদা পেয়ে থাকেন। আর ৪৭ শতাংশ নারী মনে মনে তাদের চাকরি হারানোর ভয়ে থাকেন। অনেক নারীই মনে করেণ এই সময়টুকু তার শিশুটির জন্য খুব প্রয়োজনীয় কিন্তু তারা এই ভেবে ভয় পান যে, তাদের কর্মস্থলের প্রতিযোগিতার কারণে তারা তাদের চাকরিটি হারাতে পারেন। কেননা তাদের সামাজিক অবস্থানের জন্য বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে তাদেরকে চাকরিটিও ধরে রাখতে হবে।
এনসিটির প্রধান গবেষক বলেন, অর্থনৈতিক অবস্থার বিবেচনায় বেশিরভাগ নারী তাদের কর্মস্থলে মাতৃত্বকালীন ছুটির অনেক আগেই প্রবেশ করে থাকেন। কেননা এই চাকরিটির উপর তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার একটি অংশ জড়িত। তাই এনসিটির প্রধান মনে করেন, মাতৃত্বকালীন সময়ে যেন স্বামীর বেতনের সাথে পিতৃত্ব ভাতা প্রদান করা হয় সরকার এমন একটি ব্যবস্থা যেন তৈরি করে। ফলে পারিবারিক বাড়তি আয়ের যে শঙ্কাটি ছিল তা অনেকখানি দূর হবে। যুক্তরাজ্যে নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি হলো ৫২ সপ্তাহ। তারমধ্যে প্রথম ৩৯ সপ্তাহ তারা একটি নির্দিষ্ট হারে বেতন পাবেন।
কিন্তু এনসিটির গবেষণায় দেখা যায়, তারা অনেক দ্রুতই তাদের কর্মস্থলে ফিরে আসেন। কিছু কিছু নারীর সাথে কথা বলে দেখা যায় যে, তারা মাত্র দুই সপ্তাহের মাঝে তার কর্মস্থলে ফিরে এসেছেন। এই চিত্রটি শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের নয়। এটি সারাবিশ্বের ক্ষেত্রে চিত্রটি এমন বলে দাবি করেন এনসিটি। বাংলাদেশ, ভারতসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এই অবস্থাটি আরো শোচনীয়।
তথ্যসূত্রঃ ইন্ডিপেনডেন্ট