দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও সিএনজির দাম বাড়ছে। বাসা বাড়িতে গ্যাসের দাম না বাড়ালেও শিল্প-কলকারখানা ও সিএনজির দাম বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে। সিএনজির দাম বাড়ার ফলে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পেলে জন দুর্ভোগ বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের আমলে বেশ কয়েক কিস্তিতে সিএনজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। আর বারংবার সিএনজির দাম বৃদ্ধির ফলে দেশের পরিবহন খাতে ব্যয় বাড়ার কারণে পরিবহনের ভাড়াও বেড়েছে কয়েক দফায়। যে কারণে এর প্রভাব পড়ছে অন্য সব সেক্টরেই।
বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী বেশ কয়েক দফা দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার সিএনজির দাম কমপক্ষে ৩৪% বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ ৮ নভেম্বর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। ৭ টাকা থেকে শুরু করে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে সিএনজি প্রতি কিউবিক লিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা। এরপরও যদি ৩৪% দামও বৃদ্ধি করা হয় তাহলে দাঁড়াবে ৪০.২০ পয়সা। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের গ্যাসের দাম বাড়লে পরিবহন ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়বে প্রায় ৫০%, যদি তাই হয় তাহলে এর প্রভাব পড়বে অন্যান্য পণ্য সামগ্রীতেও। যে কারণে জীবন যাত্রার ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিশেষ করে সিএনজির দাম এই মুহূর্তে বাড়ানোর কোন যৌক্তিকতা নেই। কারণ গত সাড়ে তিন বছরে এই সরকারের আমলে জীবন যাত্রার ব্যয় যেভাবে বেড়েছে তাতে সরকার সামাল দিতে পারবে না। তাছাড়া নির্বাচনও এগিয়ে আসছে, এমতাবস্থায় যদি সিএনজির দাম আবার বাড়ানো হয় তাহলে দেশের সাধারণ নাগরিক বিশেষ করে নিম্ম মধ্যবিত্তদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়বে- যা সরকারের জন্যও সুখকর হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে।
বৈঠকে যে সিদ্ধান্তই হোক না কেনো। এই মুহূর্তে সিএনজির দাম বাড়ানোর বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ মহল বিবেচনায় এনে ব্যবস্থা নেবেন সেটাই আশা করছে দেশের সচেতন মহল।