দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বকাপ যতোই এগিয়ে আসছে ততোই উত্তেজনা বাড়ছে। তবে এ সময় দর্শকদের কোনো টেনশন নেই। যতো টেনশন অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে। ফিফা ঘোষণা করেছে এবারও প্রত্যেক খেলোয়াডের ড্রাগ টেস্ট করা হবে।
জানানো হয়েছে এবার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশের প্রত্যেক খেলোয়াড়কেই ড্রাগ টেস্টের মুখোমুখি হতে হবে। শুধু তাই নয়- প্রত্যেক খেলোয়াড়কে বহন করতে হবে অবশ্যই ‘বায়োলজিক্যাল পাসপোর্ট। দুটি ব্যাপারই ঘটতে যাচ্ছে এই প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপে। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা এই ঘোষণা দিয়েছে।
এতোদিন এই ধরনের পাসপোর্ট ব্যবহার অবশ্যম্ভাবী করে সাইক্লিং ও অ্যাথলেটিক্সের সর্বোচ্চ সংস্থা আইএএএফ। এবার ফুটবলেও সেই নিয়ম আরোপ করা হলো।
এ সম্পর্কে জানা যায়, এই ধরনের পাসপোর্টে একজন খেলোয়াড়ের তার পুরো ক্যারিয়ারের রক্ত এবং মূত্র পরীক্ষার বিস্তারিত সকল তথ্য দেয়া থাকে। এটি কার্যকর করতে গত মার্চ থেকেই ফিফার নিয়োগকৃত ডাক্তার এবং নার্সরা কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আরও জানা যায়, আন্তর্জাতিক এবং দলীয় অনুশীলন ক্যাম্পে নিয়োগকৃত ডাক্তার এবং নার্সরা খেলোয়াড়দের রক্ত ও মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলো পরীক্ষা করার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠাচ্ছে। গত সপ্তাহে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের অনুশীলন ক্যাম্পেও এই পরীক্ষা করা হয়।
খেলোয়াড়দের আশা, ১২ জুন থেকে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই যেনো তাদের কাঁধের ওপর থেকে সব রকমের আশঙ্কা সরে যায়।
তবে খেলোয়াড়রা যতই আশঙ্কামুক্ত থাকতে চান না কেনো ফিফার প্রধান মেডিক্যাল কর্মকর্তা জিরি ভোরাক পরিষ্কারভাবে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা যেকোন সময়, যেকোন জায়গায়, যেকোন খেলোয়াড়ের উপর এই পরীক্ষা চালাবো।’ তবে এখন পর্যন্ত আশঙ্কাজনক কোন ফলাফল পরীক্ষায় পাওয়া যায়নি বলে তিনি ইঙ্গিত করেছেন।