দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনের সাংহাইয়ের ফুদান ইউনিভার্সিটির দুইজন গবেষক গবেষণা করে এই ধারণা পোষণ করছেন যে, আমাদের গ্যালাক্সির মাঝে অবস্থিত ব্ল্যাকহোলটি আসলে একটি ওয়ার্মহোল। ওয়ার্মহোল হলো পদার্থবিদ্যার আরেকটি বৈচিত্র্যময় বিষয় যা তাত্ত্বিকভাবে অস্তিত্ব থাকা সম্ভব কিন্তু বাস্তবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
বিজ্ঞানীরা এখন মহাকাশের এই সকল ব্ল্যাকহোলকে বলছেন, এগুলোর বেশিরভাগই ওয়ার্মহোল। ওয়ার্মহোল অনেকটা ব্ল্যাকহোলের মতোই বৈশিষ্ট্য বহন করে। স্পেস-টাইম কন্টিনিয়ামের বিষয়টি প্রথম এই ওয়ার্মহোলের তাত্ত্বিক আবিষ্কারের মাধ্যমে ফুটে উঠে। বিজ্ঞানীরা বলেন, ওয়ার্মহলের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করলে এর অপর প্রান্তে আপনি নিজেকে অন্য স্পেস এবং সময়ে আবিষ্কার করবেন। যদিও এই ভ্রমণটি আপনার কাছে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মনে হলেও আপনি নিজেকে আবিষ্কার করতে পারেন কয়েক শতক পরে। এছাড়া আপনি যদি একটি ওয়ার্মহোলের ভেতরে প্রবেশ করেন তবে নিজেকে কোন ভিন্ন মাত্রায় দেখতে পারেন। এই বিষয়টিকে তাত্ত্বিকভাবে বলা হয় প্যারালাল ইউনিভার্স। আমাদের জগতটি হলো ত্রিমাত্রিক জগত আমরা কোন কিছুর অবস্থান নির্ণয় করি তিনটি মাত্রার মাধ্যমে, এই তিনটি মাত্রা হলো দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ওয়ার্মহোলের মাধ্যমে মাল্টিপল ইউনিভার্সের সাথে সংযুক্ত হওয়া সম্ভবপর হতে পারে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একটি বিস্ময়কর ধারণা হলো প্যারালাল ইউনিভার্স কিংবা মাল্টিপল ইউনিভার্স। ধারণা করা হয় যে, মহাবিশ্ব সৃষ্টির শুরুর সময় ইনফ্লেশন বা বুদবুদের মাধ্যমে এই প্যারালাল ইউনিভার্সের সৃষ্টি। ফুদান ইউনিভার্সিটির দুইজন গবেষক কসিমো বামবি এবং জিলং লি বলেন, তাদের এই গবেষণার মাধ্যমে ওয়ার্মহোলকে সনাক্ত করা সম্ভব হবে। এই গবেষণাটি আলোর মুখ দেখলে তা হবে এই শতাব্দীর সবচেয়ে চমকপ্রদ আবিষ্কার যা আমাদের সামনে সম্পূর্ণ নতুন জগত নিয়ে আসবে।
তথ্যসূত্রঃ টেকজার্নাল