দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার নির্বাচন কমিশন অনলাইনের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের সুযোগ তৈরি করছে। নতুন এই সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন একটি নীতিমালা প্রণয়ণ করছে। এই নিবন্ধনের মাধ্যমে নাগরিকগণ প্রথম ধাপে বিনামূল্যে স্মার্টকার্ড পেলেও এরপর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর এর নবায়নের জন্য প্রায় ২৫০ টাকা খরচ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে জানা যায় যে, নতুন এই নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রেরণ করা হয়েছিল। আইন মন্ত্রণালয় একে পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে ফেরত পাঠিয়েছে। ফি নির্ধারণের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির জন্য পরামর্শ দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রণালয়ের সাথে আরো কয়েক দফা মিটিং করে তবেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন। তবে জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন আইনের আলোকে ফি নির্ধারণের মাধ্যমে আধুনিক পরিচয়পত্র দেওয়ার খসড়া প্রস্তাবটি এখনো আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। নতুন এই নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে সার্বিক বিষয়ের পর্যালোচনা করার জন্য গতমাসে নির্বাচন কমিশনারের সাথে সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৫ জুনে অনুষ্ঠিত নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী ‘স্মার্ট’ জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়াসহ নয়টি কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ৭২৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। বর্তমানে ভোটারদের যে পরিচয় পত্রটি প্রদান করা হয় তা লেমিনেটেড পরিচয়পত্র, এর মেয়াদ ১৫ বছর। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আগামীতে আধুনিক প্রযুক্তির টেকসই জাতীয় পরিচয়পত্র ‘স্মার্টকার্ড’ বিনামূল্যে বিতরণের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন বিধিমালায় ভোটার তালিকাভুক্ত নন, এমন নাগরিকের পরিচয় নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার বিধান করছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের অনলাইন পোর্টাল বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে এই পরিচয়পত্রের জন্য নিবন্ধিত হতে পারবেন যেকোনো বাংলাদেশের নাগরিক। তারপর মোবাইল কিংবা ইমেইল ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে নিবন্ধনটি নিশ্চিত করা হবে। বায়োমেট্রিক ফিচারগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখে নাগরিককে নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হয়ে সম্পন্ন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে আরো জানা যায় যে, মেয়াদ উত্তীর্ণ কার্ডের ক্ষেত্রে নবায়নের জন্য পরিশোধ করতে হবে ২৫০ টাকা, হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলে তা আবার পুনরায় তোলার জন্য ব্যয় করতে হবে ৫০০ টাকা, দ্বিতীয়বার হারিয়ে গেলে তা তোলার জন্য লাগবে ১০০০ টাকা। নির্বাচন কমিশন আরো জানিয়েছে, এই বছরের শেষের দিকে নাগরিকদের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেওয়া সম্ভব না হলেও আগামী বছরের শুরুতে তা নাগরিকদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।