দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগেকার আমলে ঘটকালী একটি পেশা হিসেবে ছিল। কিন্তু আধুনিক যুগ আসার সঙ্গে সঙ্গেই সে দিনকাল পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন অনলাইনে ছেলে বা মেয়ে দেখে বিয়ের পিড়িতে বসেন পাত্র-পাত্রী। কিন্তু তারপরও থেমে নেই কুষ্টিয়ার তাপস ঘটক। ৮৭৫ জন ছেলে-মেয়ের বিয়ে দিয়ে এখন অপেক্ষায় আছেন হাজার বিয়ে দেয়ার রেকর্ড করার জন্য।
প্রকাশ থাকে যে, কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড খন্দক বাড়ীয়া কুঠিপাড়া মহল্লার মৃত মোসলেম উদ্দিন শেখের পুত্র ঘটক তাপস শেখ (৩৭), তাপস শেখকে লেখাপড়া শিখতে বা কেও কোনদিন স্কুলে যেতে দেখেনি। অথচ তাপস দেশের অনেক বরেণ্য ব্যক্তির বিয়ের ঘটকালী করে অনন্য নজির স্থাপন করে চলেছেন। ১৯ বছর ধরে সে ঘটকালী পেশার সাথে জড়িত।
এই ১৯ বছরে তাপস ৮৭৫ জন ছেলে-মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে ২৫ জন রয়েছে হিন্দু সমপ্রদায়ের পাত্র-পাত্রী। তাপসের এখন একটাই লক্ষ্য এক হাজার বিয়ে দেবার মাইল ফলক স্পর্শ করার। আর মাত্র ১২৫টি বিয়ে দেবার কাজ করতে পারলেই সে এক হাজার বিয়ে দেবার অনন্য নজির স্থাপন করবেন।
তাপস জানায়, ঘটকালী মহান পেশা। বিয়ে দেবার কাজটি বেশ জটিল। পেশায় নানা প্রতিকূলতা আছে। তাপস নিজে লেখাপড়া না জানলেও তার বড় ছেলে নাজমুল মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষায় মিরপুর নাজমুল উলুম সিদ্দিকীয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে চলতি বছর জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে পাস করেছে।
আলাপকালে তাপস জানায়, এখন তার একটাই টার্গেট হাজার বিয়ে দেওয়ার রেকর্ড গড়ার। আর তাই সে পারিবারিক হাজারও ব্যস্তার মধ্যেও ঘটকালী অব্যাহত রেখেছেন। তিনি তার হাজার বিয়ে দেওয়ার রেকর্ড স্থাপনের জন্য সকলের কাছে আশির্বাদ চেয়েছেন।