দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজকাল পুষ্টিকর ফল কেনার কথা ভাবলেই মাথায় চলে আসে ফরমালিনের কথা। যে ফলকে পুষ্টিকর ভেবে কিংবা যে মাছকে তাজা ভেবে বাজার থেকে কিনে আনলেন তাতে দেখা গেল রয়েছে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ যা আপনার শরীরে যতটা না পুষ্টি যোগাবে তার চেয়ে বরং আরো ক্ষতিই করবে। তাহলে কি আপনি মাছ কিংবা ফল খাবেন না? অবশ্যই খাবেন। কিভাবে আপনার ফল বা মাছকে রাসায়নিকমুক্ত করে খাবেন তা নিয়েই আমাদের আজকের এই আয়োজন।
তাহলে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ফরমালিন কি?
ফরমালিন হলো হল ফরমালডিহাইডের (CH2O) একটি পলিমার। ফরমালডিহাইড দেখতে অনেকটা সাদা পাউডারের মত এবং এটি পানিতে সহজেই দ্রবণীয়। শতকরা ৩০-৪০ ভাগ ফরমালডিহাইডের জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়। ফরমালিন সাধারণত টেক্সটাইল, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এই ফরমালিন আপনার শরীরে কি ক্ষতি করতে পারে?
প্রাথমিকভাবে হয়তো এর প্রতিক্রিয়া আপনাকে চিন্তিত নাও করতে পারে তবে দীর্ঘমেয়াদে তা আপনার দেহের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করবে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের শরীরে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল প্রবেশ করলে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাছাড়া মানবদেহে ফরমালিন ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তের এসিডিটি বাড়ায় ফলে যাদের এসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাদের বুক জ্বালাপোড়া করে।
কিভাবে বুঝবেন আপনার কেনা মাছ কিংবা ফলে ফরমালিন রয়েছে?
ফরমালিনযুক্ত মাছকে ধুয়ে পানিতে ৩% হাইড্রোজেন পারক্সাইড মেশালে ফরমালডিহাইড অক্সিডাইজড হয়ে ফরমিক অ্যাসিডে রূপান্তর হয়। পানিতে ফরমিক এসিডের উপস্থিতি প্রমাণের জন্য সে পানিতে অল্প মারকিউরিক ক্লোরাইড মেশালে সাদা রঙের তলানি পড়বে। তাতেই প্রমাণ হবে ফরমিক অ্যাসিড তথা ফরমালডিহাইড তথা ফরমালিন।
এবার জেনে নেওয়া যাক কিভাবে মাছ কিংবা ফলকে ফরমালিনমুক্ত করা যায়?
ফরমালিনযুক্ত ফল বা মাছকে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুলেও ফরমালিনমুক্ত করা যায় না। সবচাইতে ভাল পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রনে (পানিতে ১০% আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়। ফলের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি ব্যবহার করে ফরমালিন মুক্ত করতে পারেন।