দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা যাবে এমন কথা শুনলে যে কেও উৎফুল্ল হবেন। ঘটনা সত্য। তবে এটি ভারত করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। শিশু ও বৃদ্ধরা এই সুযোগ পাবেন।
ভারতের নতুন মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেকেই বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। নির্বাচনের সময বলা হয়, ভারতের বাংলা ভাষী বিশেষ করা যারা বাংলাদেশ স্বাধীনের পর সেদেশে চলে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া হবে এমন কথা বলার পর মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেকেই বেশ টেনশনে পড়ে যান। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিশেষ করে সরকারি পর্যায়ে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। যদিও দলীয়ভাবে বলা হয়েছে তালিকা করা হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
বরং তিস্তাচুক্তিসহ বেশ কিছু অমিমাংসিত বিষয়ে সমাধান হবে বলেই মনে হচ্ছে। নতুন করে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভারত ভ্রমণে ভিসাসংক্রান্ত কিছু সুবিধা দিতে যাচ্ছে। ভিসা ছাড়াই ভারতে ভ্রমণের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে এ সুযোগ কেবলমাত্র ১৮ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের উপরের বয়সের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি প্রভাবশালী বাংলা ‘দৈনিক যুগশঙ্খ’ এ খবরের উদ্বৃতি দিয়ে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশ নিউজ২৪ এ খবর দিয়েছে।
ওই পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক শক্তিশালী করতে ভারতের নরেন্দ্র মোদির নতুন সরকার বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট বয়সের বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা ছাড়া ভারত ভ্রমণের প্রস্তাব। অপরদিকে ঢাকা-শিলং-গৌহাটি বাস চলাচল, নৌপথে দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়টি রয়েছে ওই প্রস্তবের মধ্যে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ওই প্রস্তাবগুলো অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেষা রাজ্যগুলোর সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য ইতিমধ্যেই নাকি পাঠানো হয়েছে বলে ওই পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে।
অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের ভিসা ছাড়া প্রবেশের প্রস্তাবের প্রবল বিরোধিতা করেছে আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রস্তাবকে ‘ভয়ঙ্কর’ অভিহিত করে বলেছেন, কেন্দ্রের এই প্রস্তাব তাদের মেনে নেয়া সম্ভব নয়। এভাবে নথিপত্র ছাড়া বাংলাদেশীদের ভ্রমণের সুযোগে ভারতে সমস্যা বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য এবং নদীপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রস্তাবে রাজ্য সরকার মত দিয়েছেন।