দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রাজিলের বিখ্যাত কারানদিরু কারাগার নানান কারণে বিশ্বব্যাপি পরিচিত। এটি যেমন টা হিংস্রতার প্রতিক তেমনটা রুক্ষ হতাশা এবং গণহত্যার জন্য বিশ্ব প্রসিদ্ধ। আজ আমরা জানবো এই কারাগারের বিষয়ে কিছু তথ্য।
কারানদিরু মুলত ব্রাজিলের সাও পাওলো নগরীর একটি কারাগার যেখানে ব্রাজিলের কুখ্যাত খুনি এবং অপরাধীরা সাজা ভোগ করে । কারানদিরু জেল খানায় নেই কোন সুনির্দিষ্ট সরকার প্রণোদিত আইন কানুন। বলতে গেলে কয়েদিরা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করে জেলের অভ্যন্তরীণ আইন। ফলে খুন আর অপরাধ অনেকটাই সহজ। এছারা কারাগারের ভিতর মাদক গ্রহণ, অবাধ যৌনতা, সমকামিতা আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য মানসিক আর শারীরিক রোগের প্রকোপ অনেক বেশি।
ব্রাজিলের সরকার এই বৃহৎ পরিসরের জেল খানার কয়েদিদের প্রতি অনেকটাই উদাসিন। এর আগে ১৯৯২ সালে কারাগারে সংগঠিত হয় এক দাঙ্গা, এরপর ব্রাজিল এর দাঙ্গা পুলিশ ঘটায় এক অমানবিক হত্যাকাণ্ড। সভ্যতা প্রশ্নের সম্মুখীন হয় কারা আসল নিষ্ঠুরতার প্রতিপালক, কয়েদি না পুলিশ? সবমিলিয়ে অনেক কথা লিখেও ছবিটির সম্পর্কে বলে শেষ করা কঠিন। morality , প্রতিশোধ , অপরাধ বোধ এর দৃষ্টিভঙ্গি , আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া, সভ্যতা , মানবিকতা্ সব কিছুই পাওয়া যাবে এই কারাগারে।
এখানে মানুষগুলো যেন আসবাব! ঠাসাঠাসি করে৷ হাত-পা ছড়িয়ে থাকার সুখ সেখানে বিলাসিতা৷ ঘুমোতে হয়, একে-অন্যের ঘাড়ে৷ গায়ের ওপরে৷ আর জেগে থাকলে? ওটাই রান্নাঘর, খাবারঘর, স্নানঘরও! এই সব জেল আবার নিয়ন্ত্রণ করে দুষ্কৃতী সংগঠন! এটি দুষ্কৃতীদের বিশ্ববিদ্যালয়! জেলের ভেতরে ঠাসাঠাসি করে থাকেন অসংখ্য অপরাধী৷ যক্ষায় আক্রাম্ত অধিকাংশই৷ ছোঁয়াচে রোগ বলেই, তা আসামিদের মাধ্যমেই বাইরের মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে৷ এটাই উদ্বেগের কারণ৷ এই জেলেই ১৯৯২-এ ঘটেছিল ভয়ঙ্কর দাঙ্গা৷ ব্রাজিলের ইতিহাসে রক্তক্ষয়ী অধ্যায় হিসেবেই যা চিহ্নিত৷
আরও ছবি দেখুন-
এখন বিশ্বকাপ চলছে ব্রাজিলে, অতএব ইংল্যান্ড, আর্জেন্টিনার দাঙ্গাবাজ সমর্থকরা সাবধান৷ বিশ্বকাপ চলাকালীন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা ঝামেলায় জড়ালেই, তাদেরও ঠিকানা হয়ে যেতেই পারে ‘কারানদিরু’ জেল৷
সূত্রঃ দিডেইলি মেইল