দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুরু হয়েছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। রমজান এলে আমাদের খাদ্যাভাস থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রেই কিছুটা পরিবর্তন আসে। আর তাই স্বাস্থ্য নিয়ে কিছুটা জটিলতা হতে পারে। তবে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকলে এসব সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
প্রথমতো রমজানে আমাদেরকে নতুন রুটিনে খাবার খেতে হয়। মেনুতেও চলে আসে অনেকটা বৈচিত্র্য। অনেক সময় বিশেষ করে প্রথম প্রথম এই নতুন খাদ্যাভ্যাসে শরীরের উপর বিরুপ প্রভাবও পড়তে পারে। যে কারণে অনেকেই আবার অসুস্থ হয়ে বাকি রোজাগুলো ঠিকমত পালন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এর মূলে রয়েছে ভুলভাল খাওয়া। আজ এ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
রমজানে কি ধরনের সমস্যা হতে পারেঃ
# কোষ্ঠ কাঠিন্য। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া জিনিস খাওয়া, পানি কম খাওয়া এবং খাবার মেনুতে আঁশযুক্ত খাবার না রাখায় এ সমস্যা হতে পারে।
# মাথাব্যাথা হতে পারে। যাদের কফি বা ধূমপানের অভ্যাস আছে তারা অনেকসময় সারাদিনের রোজায় এমন মাথাব্যাথায় আক্রান্ত হতে পারেন।
# লো ব্লাড প্রেশার হতে পারে। কারণ তরল খাবার কম গ্রহণ করার কারণে এটি হতে পারে।
# হজমে সমস্যা ও পেট ফাঁপা। অনেক সময় হজমেও সমস্যা হতো পারে।
# পেপটিক আলসার, গ্যাস্ট্রিক, বুকজ্বালাও হতে পারে। সারাদিন উপস থাকার কারণে অনেকের এসিডিটিও হয়ে থাকে। মনে রাখবেন অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার, কফি এবং সফট ড্রিঙ্কস এই অবস্থাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
খাদ্যাভ্যাস কেমন হওয়া উচিতঃ
১. সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারির সময় অনেকেই অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি এড়ানোর জন্যই আপনাকে ইফতারিতে অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। সারাদিন অভুক্ত থাকার পর হঠাৎকরে বেশি খাবার একসঙ্গে গ্রহণ করলে আপনার পরিপাকযন্ত্রে গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে।
২. ইফতারিতে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন করুণ। যতোদুল সম্ভব ভাজাপোড়া খাবার কম গ্রহণ করুন। এতেকরে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৩. রোজায় লবণ পরিমাণ মত খেতে চেষ্টা করতে হবে। কারণ লবণ বেশি খেলে পানির তৃষ্ণা বেশি লাগবে। যেহেতু সারাদিনে আপনি পানি পান করতে পারবেন না, তাই আপনার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
৪. পানিশূন্যতা দুর করতে চিনি দিয়ে গোলানো শরবত অথবা সফট ড্রিঙ্কসের উপর বেশি নির্ভর না করায় ভালো। ঘরে তৈরী শরবত ও ফলের রস পরিমাণ মত গ্রহণ করায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৫. লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে প্রতি ইফতারে এবং সেহরিতে যথেষ্ট ফল ও শাক সবজি থাকে।
বেশি করে যেসব খাবার গ্রহণ করবেন:
• আঁশযুক্ত খাদ্য
• কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাদ্য
• দেশি ফল, শাকসবজি ইত্যাদি
• প্রচুর পরিমাণে পানি করতে হবে
অত্যধিক খাদ্যগ্রহণ, ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, মাত্রাতিরিক্ত চা পান ও সফট ড্রিঙ্কস থেকে দূরে থাকতে হবে। এসব নিয়মগুলো মেনে চললে এই রমজানেও আপনি রোজা রাখার পরও সুস্থ্য থাকতে পারবেন।