দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যারা শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত তাদের অনেকেরই সারা দিন প্রায় ১৬ ঘন্টা রোজা রাখার পরও শরীরের ওজন কমছে না বরং ওজন বেড়েই চলছে। রোজা থাকার পরও কেন এমনটি হচ্ছে বুঝতেই পারছেন না। রোজা আসলে আমাদের খাবার সময়ের পরিবর্তন হয়। আবার খাবার মেন্যুতেও আসে বেশ পরিবর্তন। তৈলাক্ত খাবার খাওয়া হয় এই সময় খুব বেশি ফলে সবকিছু মিলে বাড়ছে ওজন।
ইফতারে বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়া
রোজায় সারাদিন না খেয়ে থাকলেও ইফতারীতে খাওয়া হয় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। আর ইফতারীর এই খাবারে বেশিরভাগই থাকে তৈলাক্ত খাবার। এই খাবারের ফ্যাট বা চর্বি আপনার ওজন আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। এই সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে পাকস্থলি খালি হয়ে থাকে। এসময় একবারে বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়। কেননা একবারে বেশি খেলে খাবার ভালভাবে হজম হয় না। এদিকে শরীরে ফ্যাট জমিয়ে দেয়। খাবার মাঝে পানি খাবেন না। এতে হজম প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে। আর এই সব কারণেও বাড়তে পারে শরীরের ওজন।
পরিশ্রম কমিয়ে দেয়া ও দিনে ঘুমানো
সাধারণত কায়িক শ্রম কমে গেলে অলসতা বাড়ে। পরিশ্রম না করে দিনে ঘুমানো হলে শরীরে ওজন বেড়ে যায়। আর এই সকল কারণেই রমজানে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। রমজানে অনেকেই রয়েছেন যারা রাত জেগে থেকে সারাদিন ঘুমান। যাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই ঘুমটি আরো বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। এতে করে আপনার শরীরের ওজন বেড়ে যাবে যা রমজানের পরেও আপনার জন্য নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হতে পারে।
খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন
যে সব খাবার খেতে অভ্যস্ত হুট করে খাবার তালিকা থেকে সেসব খাবার বাদ দিলে ওজন বাড়তে পারে। আর খাদ্য তালিকায় খুব বেশি পরিবর্তন হয় রোজায়। তাছাড়া খাদ্যতালিকায় বেশি পরিমাণ ফ্যাট আর প্রোটিনযুক্ত হওয়ার ফলে শরীরের বাড়তি ওজন সৃষ্টি হয়। ইফতারির খাবারের ক্ষেত্রে আপনি অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার বাদ দিতে পারেন। সেখানে যুক্ত করতে পারেন পুষ্টিকর খাবার যেমন বিভিন্ন ধরনের ফল, ফলের জুস ইত্যাদি। রোজায় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন কিছু খাবার বেঁছে নিন যা আপনার শরীরে সুষম পুষ্টি যোগাবে কিন্তু আপনার ওজন বাড়াবে না।
ব্যায়াম না করা
শারীরিক ব্যায়াম সব সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ব্যায়াম শরীরকে ফিট রাখে। কাজে কর্মে মনোযোগী করে। কিন্তু রমজানে শরীরের ক্ষতি হবে ভেবে অনেকে ব্যায়াম করেন না যার ফলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। সুতরাং ব্যয়াম করা বন্ধ না করে নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন। এতে আপনার শরীর যেমন থাকবে ঝরঝরে তেমনি থাকবে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে।
ওজন স্বাভাবিক রাখতে যা করতে পারেন
ইফতারীর শুরুতেই এক দুই গ্লাস পানি খেয়ে নিন। ইফতার ও সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে বার বার পানি পান করুন। ইফতারী করার সময় ভাজা পোড়া খাবার খাবেন না। তবে ঘণ্টা দুয়েক পর ভাজাপোড়া আইটেমের খাবার খেতে পারেন। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার কম খান আঁশযুক্ত খাবারকে প্রাধান্য দিন। হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে। এছাড়া পুষ্টির ঘাটতি পুরণের জন্য উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খান। ইফতারী খাবার সময় আস্তে আস্তে পরিমাণ মত খান। এতে খাবার সহজেই হজম হবে। শরীরে ফ্যাট জমবে না । এই রমজানে নিজের সুস্থতার যা খেতে ভালো লাগে এমন খাবার নয় বরং যে খাবার খেলে সুস্থ থাকবেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এমন খাবার খান। সঠিক খাবার বেছে নিতে পুষ্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
This post was last modified on জানুয়ারী ২২, ২০২৪ 11:56 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৯ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদি আপনি হৃদরোগের থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে ভরসা রাখতে…