দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিত্যপ্রয়োজনীয় যে গ্যাজেটগুলোর মধ্যে বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার্য এবং প্রয়োজনীয় তার মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোন। বাসা, অফিস থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি স্থানেই দেখা যায় এর ব্যবহার। কিন্তু জানেন কি এই গ্যাজেটটি ব্যবহারেও রয়েছে কিছু নিয়মকানুন যেন তা অন্যের বিরক্তির কারণ না হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক মুঠোফোন ব্যবহারের কিছু নিয়মকানুন।
১. পরিসংখ্যান বলে আমরা নাকি স্বাভাবিকের চেয়ে মুঠোফোনে তিনগুণ জোরে কথা বলি। তাই মুঠোফোনে কথা বলার সময় স্বর নিচু ও মার্জিত রাখুন। কেননা আপনার এই কথোপকথন অন্যের বিরক্তির কারণ হতে পারে। আপনার উচ্চস্বরের কথোপকথন অন্যের কাজে ব্যাঘাত করতে পারে। এছাড়া ফোনালাপে অমার্জিত আচরণ অন্যের চোখে আপনাকে হেয় করতে পারে।
২. সামনাসামনি বসে কারো সাথে কথা বলার সময় মুঠোফোনে অনেকক্ষণ কথা বলা, মেসেজ করা থেকে বিরত থাকুন, এতে সামনে বসা ব্যক্তিটির প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ পায়। পারতপক্ষে এই সময় মুঠোফোন কথা বলা বন্ধ রাখুন। আপনার কলটি যদি গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে আপনার সামনে বসে থাকা ব্যক্তি থেকে অনুমতি নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে কথা শেষ করুন। অনেকে আলোচনা আড্ডায় বসে বসে মোবাইলে ফেসবুকিং করেন এটি ঠিক নয়। যখন যে পরিবেশে থাকবেন তাকে গুরুত্ব দিন।
৩. মসজিদ, লাইব্রেরি, চার্চ, মন্দির এই স্থানগুলোতে ঢোকার আগেই মুঠোফোন বন্ধ করে রাখুন। এই সকল স্থানগুলোর ক্ষেত্রে নীরবতা বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। আপনার মোবাইলের রিংটোন কিংবা আপনার কথা বলা এই নীরবতা ভঙ্গ করতে পারে। তাছাড়া এই সকল স্থানগুলোতে মানুষ নীরবতার সাথে হয়তো পড়ে কিংবা প্রার্থনা করে। আপনার মুঠোফোনের শব্দ তাদের এই কাজগুলোকে ব্যাহত করবে।
৪. গাড়ি, বাইক, সাইকেল চালাতে চালাতে কখনোই মুঠোফোনে কথা বলবেন না, এটি মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। এই সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ কল হলে তা রিসিভ করার জন্য রাস্তার পাশে আপনার গাড়ি, বাইক কিংবা সাইকেল দাঁড় করিয়ে তবেই কথা সারুন। তাছাড়া জনসম্মুখে যেমন, পাবলিক বাসে, মার্কেটে, বাজারে মুঠোফোনে ব্যক্তিগত কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
৫. অপ্রয়োজনে অনেকক্ষণ মুঠোফোন ব্যস্ত বা অন্যের কল ওয়েটিং এ রাখবেন না, কলটি জরুরি কোন খবর নিয়ে আসতে পারে। আপনি জরুরী কাজে থাকলে তাকে বুঝিয়ে বলুন আপনি ব্যস্ত, পরে কথা বলবেন। অনেকের মধ্যেই এই বদঅভ্যাসটি রয়েছে যে, ঘুমের কারণে কিংবা অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসঙ্গিক কাজের ব্যস্ততায় অন্যের কলটি রিসিভ করতে চান না। কলটি রিসিভ করার ফলে অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি আপনার ক্ষেত্রে নিশ্চিত থাকতে পারেন, তা না হলে তিনি চিন্তিত হতে পারেন।
৭. অফিসের মিটিং এ, সেমিনারে, কোন প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনের সময় কিংবা কোন জরুরী কাজে থাকার সময় মুঠোফোন নীরব (সাইলেন্ট) রাখুন। এই ক্ষেত্রে কোন কল আসলে তা রিসিভ করতে যাবেন না। এটি করলে অফিসে আপনার বিপরীতে একটি নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হবে। তাছাড়া অফিসের সিনিয়র কলিগদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাঝে ফোন রিসিভ করবেন না।
৮. জনসম্মুখে মুঠোফোনে বন্ধুদের সাথে কথা বলতে গিয়ে মজা করে আজেবাজে শব্দ ব্যবহার করবেন না, এটি আপনার সম্পর্কে অন্য জনের কাছে খারাপ বার্তা বয়ে আনবে। আর বিষয়টি বেশ দৃষ্টিকটু। হতে পারে অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিটি আপনার খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু তার সাথে জনসমাগমপূর্ণ স্থান, অফিসের ভেতরে থাকাকালীন সময়ে কথা বলতে গিয়ে মার্জিত আচরণ বজায় রাখুন।