দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উইন্ডোজ এক্সপির ভাগ্য বরন করতে যাচ্ছে উইন্ডোজ ৭। ১৩ জানুয়ারি, ২০১৫ থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে উইন্ডোজ ৭ এর জন্য মাইক্রোসফটের সকল ধরনের সাপোর্ট। এর মানে হল, ওই সমময়ের পর উইন্ডোজ ৭ এর জন্য কোন ধরনের আপডেট পাওয়া যাবে না।
১৩ জানুয়ারি ২০১৫ সালের পর ব্যবহারকারীর উইন্ডোজ ৭ এ যদি কোন ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটিও ধরা পড়ে, মাইক্রোসফট সেই ব্যাপারে কিছুই করবেনা। উইন্ডোজ ৭ এর সবকয়টি ভার্সনের ক্ষেত্রেই এই সিদ্বান্ত কার্যকর হবে। এই সিদ্বান্তের কারনে সাধারন ব্যবহারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই সময়ের বাইরেও এই সেবাটি পেতে আগ্রহী তারা অর্থ পরিশোধ করতে পারবে, তাদের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সেবা দেওয়া অব্যাহত রাখবে মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ এক্সপির সাপোর্ট বন্ধ করার পর অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানতাদের কম্পিউটার সিস্টেম উইন্ডোজ ৭ এ আপগ্রেড করছে, উইন্ডোজ ৮ এ নয়। ফলে এই মুহূর্তে যদি সম্পূর্নভাবে উইন্ডোজ ৭ এর জন্য সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে বিতর্কিত হতে পারে মাইক্রোসফট। যদিও বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্লগের তথ্যমতে, উইন্ডোজ ৭ এর জনপ্রিয়তা বিবেচনায় মাইক্রোসফটের এ সিদ্বান্তে পরিবর্তন আসতে পারে। কারন জানুয়ারি আসতে খুব একটা দেরি নেই। তাছাড়া উইন্ডোজ এক্সপির ক্ষেত্রে এই সেবা ১৩ বছর অব্যাহত ছিল। তাই ধারনা করা হচ্ছে, এ সময়সীমা আরো বাড়ানো হতে পারে।
কিন্তু বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করলে বলা যেতে পারে, এই সিদ্বান্ত পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, উইন্ডোজ ৭ এর সকল ফিচারই রয়েছে উইন্ডোজ ৮ এ। যা ডেস্কটপ মুড নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে উইন্ডোজ ৮ এর বিরক্তিকর দিকগুলো এড়ানো সম্ভব। তবে উইন্ডোজ ৮ এর গ্রাহক বাড়াতে মানুষকে আরো আকৃষ্ট করা প্রয়োজন। আর এই কারণেই মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্ত। মজার ব্যাপার হচ্ছে, মাইক্রোসফট এটাও জানিয়েছে যে ২০১৮ সালের ৯ই জানুয়ারির পর বন্ধ করে দেওয়া হবে উইন্ডোজ ৮ এবং ৮.১ এর সাপোর্ট।
এ থেকে ধারনা করা যায়, মাইক্রোসফট সম্ভবত আগামী বছরই নিয়ে আসতে যাচ্ছে পরবর্তী অপারেটিং সিস্টেম যার কোডনেম Threshold। আর এখানে মাইক্রোসফট যদি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে, তাহলে উইন্ডোজ ৮ এর জায়গা দখল করে নেবে উইন্ডোজ ৯ যেমনটি ঘটেছিল উইন্ডোজ ভিস্তার ক্ষেত্রে।
তথ্যসূত্রঃজেডনেট