দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাতার কর্তৃপক্ষের দাবি ২০২২ সালের বিশ্বকাপটি হবে ইতিহাসের সবচেয়ে জাকজমকপূর্ণ এবং সবচেয়ে দামি বিশ্বকাপ। কাতারের স্টেডিয়ামগুলোর দৌরাত্ম্য দেখলে আপনার তাই মনে হতে পারে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম হবে সর্বনিম্ন আটটি আর সর্বোচ্চ ১২টি। চলুন দেখে নেওয়া যাক কাতার বিশ্বকাপের কিছু স্টেডিয়াম।
কাতারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপে গরমই হবে সবচেয়ে বড় সমস্যা। উয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনি ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিকল্প হিসেবে স্টেডিয়ামে এয়ার কন্ডিশনিংয়ের ব্যবস্থা করার জন্য বলেছেন। কিন্তু বিশ্বকাপের নিয়ম অনুযায়ী এটি বছরের মাঝামাঝিই অনুষ্ঠিত হতে পারে। কাতারে জুন-জুলাই মাসের গরমে তাপমাত্রা যেখানে পৌঁছায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর। তাই কাতার বিশ্বকাপের সাংগঠনিক পরিষদের জনসংযোগ ও প্রচার বিভাগের পরিচালক নাসের আল-খাতের ইতোমধ্যেই বার্লিনে গিয়ে একাধিক জার্মান কোম্পানির সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন সৌরশক্তিচালিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাপনা তৈরির লক্ষ্যে। সব মিলিয়ে কাতার বিশ্বকাপে প্রযুক্তি চোখে পড়ার মতো হবে। আবার কাতার ঘোষণা করেছে যে, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ কার্বন-নিউট্রাল হবে। ফিফাকে যে প্রোটোটাইপ স্টেডিয়ামটি দেখানো হয়েছে, সেটিও ছিল সৌরশক্তি চালিত। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো তৈরি হওয়ার আগে আরও সক্ষম, আরও কার্যকরী প্রযুক্তির বিকাশ দেখতে চায়। পরিকল্পনা হলো, হয় একটি কেন্দ্রীয় ‘সৌরশক্তির খামার’ তৈরি করে সেখান থেকে জ্বালানি শক্তি সরবরাহ করা, নয়তো যে ১২টি নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে, তাদের প্রত্যেকটিতে আলাদা ইউনিট বসানো।
২০২২ সালে কাতারে অবাক করা স্টেডিয়ামের মধ্যে রয়েছে দোহার পোর্ট স্টেডিয়াম। দশটি নতুন স্টেডিয়ামের মধ্যে এটি অন্যতম।
কাতারের ঐতিহ্যবাহী সাদা-কালো তাঁবুর আদলে তৈরি হচ্ছে আল বায়াত স্টেডিয়ামে।
ছবির মতো কাতার ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়াম।
সমুদ্র সৈকতের কোল ঘেঁষে আল শামাল স্টেডিয়াম।
দৃষ্টিনন্দন আল খোর স্টেডিয়াম।
৪০ হাজার দর্শকের আল রায়ান স্টেডিয়াম।
আম সালার স্টেডিয়াম।