দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ।। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের একের পর এক হামলায় মৃতের সংখ্যা তিন শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ববাসীকে আর কতো রক্ত দেখতে হবে? এমন প্রশ্ন দেখা দিযেছে বিবেকবান বিশ্ববাসীর কাছে। আর কতটা নিচে নামতে পারে ইসরাইল এখন শুধু সেটুকু দেখার অপেক্ষা!
ফিলিস্তিন অধ্যুষিত গাজায় আজ শনিবারও ইসরায়েল নতুন করে বিমান হামলা শুরু করেছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। গত ১২ দিনে এই নিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।
গাজায় ইসরায়েলের প্রায় একতরফা হামলার আজ ১২তম দিনে গড়িয়েছে। ভোরে খান ইউনিস শহরে একটি মসজিদের বাইরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ৭ জন নিহত হয়। এরপর আবারও গাজায় হামলা চালানো হয়। এতেও বেশ কয়েকজন হতাহত হয়।
আজকের এই হামলার ঘটনা নিয়ে গত ১২ দিনে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩০৬ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্র জানিয়েছে। আর এসব হামলায় আহত হয়েছে শিশু-নারী, বৃদ্ধসহ হাজারো অসহায় ফিলিস্তিনি।অপর দিকে চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত মাত্র দুজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েকজন।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার বলা হয়, চলমান সহিংসতা বন্ধে উভয় পক্ষতে সমঝোতায় আনার লক্ষ্যে সংস্থাটির মহাসচিব বান কি মুন আজ ওই অঞ্চল সফরে যাচ্ছেন।
অপরদিকে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকা আবারও সেই একপেশে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সেই একই কায়দায় নিজেকে রক্ষার ব্যাপারে ইসরায়েলের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে তিনি সেই সঙ্গে বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি এড়াতে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় গতকাল থেকেই আবার স্থল অভিযান শুরু করেছে। যুদ্ধবিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের সহায়তা নিয়ে স্থলবাহিনীর ওই অভিযানে গতকালও নিহত হয়েছে অন্তত ২৪ জন নিরপরাধ মানুষ। গতকালই আহত হয়েছে অন্তত ২০০ জন। প্রাণ বাঁচাতে গাজার নিরাপরাধ মানুষ দিকবিদিক বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটতে থাকে।
এদিকে হামাস হুঁশিয়ারি করে বলেছে, এই আগ্রাসনের জন্য ইসরায়েলকে চড়া মূল্য দিতে হবে। ইসরায়েলি হামলার জবাবে তারা গাজা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছুড়ছে। ইসরায়েল বলেছে, গতকাল এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। তবে কোথায় ও কীভাবে নিহত হয়েছেন, তা সুনির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, ৮ জুলাই থেকে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলার সূত্রপাত ইসরায়েলি তিন কিশোরকে কেন্দ্র করেই। হামাসই ওই ঘটনা ঘটায় বলে মনে করে ইসরায়েল। তবে হামাস তা অস্বীকার করে। পরে ফিলিস্তিনি এক কিশোরকে একইভাবে হত্যা ও অপহরণের পর নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর গাজা থেকে রকেট ছোড়া হচ্ছ্ত-এমন দাবি তুলে ‘অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ’ নামে এক হত্যাযজ্ঞ শুরু করে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। যাকে এখন পর্যন্ত সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র!