দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিমানে মাতাল হয়ে বাথরুমের দরজা মনে করে বিমানের দরজাই খুলে ফেলতে যাচ্ছিলেন রায়ান এয়ার এর এক যাত্রী! যদিও অন্যান্য যাত্রী এবং বিমান কর্মীরা তাকে শেষ পর্যন্ত থামাতে পেরেছিলেন বলেই ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায় বিমান।
সাধারণত আকাশে বিমান প্রচণ্ড বাতাসের চাপে থাকে, সেখানে বাতাস এতো বেশি থাকে যে বাতাসের বেগে বিমানের দরজা খোলা সম্ভব নয়। যদিও খোলা হয়ে থাকে সব কিছুই উড়িয়ে নেয়ার সম্ভাবনা সহ বিমান এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা বিগ্ন হতে পারে।
রায়ানএয়ার উড়োজাহাজটি যাচ্ছিল ডাবলিনের উদ্দেশ্যে। যাত্রী টমাস মুচা ভদকা আর বিয়ার খেয়ে ততক্ষণে স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। এ অবস্থায় টমাস বাথরুমের দরজা ভেবে প্লেনের দরজাটাই খুলে ফেলতে যান। অনেক চেষ্টার পরেও টমাস মুচা বিমানের দরজা খুলতে ব্যর্থ হন। এই সময়ের মাঝে অবশ্য অন্যান্য যাত্রীরা টমাস মুচার এই কান্ড দেখে তাকে থামায় এবং নিজের আসনে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
এদিকে উড়োজাহাজটি আয়ারল্যান্ড পৌঁছালে টমাস মুচাকে গ্রেফতার করে স্থানীয় এভিয়েশন বিভাগ। তাকে পরে বিচারের সম্মুখীন করা হয় এবং তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তুমি কি এই কান্ড বুঝে শুনে ঘটিয়েছো? তিনি উত্তরে জানান না ওই সময় তিনি স্বাভাবিক ছিলেন না। পরে কোর্ট তার কাছে জানতে চায় যদি বিমানের দরজা খুলে যেতো তবে কি পরিণতি হতে পারত তুমি কি ধারণা করতে পারো? জবাবে মুচা বলেন হ্যা আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি।
এদিকে ওই সময়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, টমাস মুচা ঘটনার সময় কোন খারাপ আচরণ কিংবা অন্য কোন যাত্রীর কোন ক্ষতি করতে চায়নি, তিনি অনেকটা শান্ত ছিলেন।
ঘটনা পর্যালোচনা করে আয়ারল্যান্ড কোর্ট অবশ্য টমাস মুচার অর্থ জরিমানা করেছেন যা বাংলাদেশী টাকায় ২১ হাজার টাকা!
সূত্র- দিডেইলিমেইল