দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছবি দেখে মনে মনে ভাবছেন ওয়াকিং ডেড অথবা অন্য কোনো হরর মুভির থেকে নেয়া দৃশ্য এটি? আপনাকে অবাক করে দিবে প্রকৃত ঘটনা। এটি আসলে পৃথিবীর বৃহত্তম গাড়ী কবরস্থান যা বেলজিয়ানের বনে আটকে ছিল ২০১০ সাল পর্যন্ত|
১০০ থেকে ১৫০ টি বিভিন্ন মডেলের গাড়ির ধ্বংসাবশেষ নিয়ে বছরের পর বছর ধরে গড়ে উঠে এই পৃথিবীর বিখ্যাত গাড়ী কবরস্থান। পুরো ইউরোপ জুড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতির স্বারক হয়ে উঠে শান্ত নিঝুম ভূতুড়ে জায়গাটি।
বেলজিয়ামের শহুরে কিংবদন্তিদের মুখে শোনা যায় বিস্তারিত ঘটনা! দক্ষিণ বেলজিয়ামে চাটিলীয়ন নামে একটি গ্রামের কাছাকাছি একটি ছোট বন, বনের মাঝখানে পরিত্যক্ত এবং মরিচা গাড়ির কবরস্থানটি ছিল ১৯৪০ সাল থেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সৈন্যদের মধ্যে যারা দক্ষিণ বেলজিয়ামে কর্তব্য পালনরত ছিল তারা পিছনে সব সেনা গাড়ি ফেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।
রাঙ্কিং কর্মকর্তারা গাড়িগুলো চালিয়ে পাহাড়ের ঢালে শান্ত একটি রাস্তায় যাওয়ার পর কোনঠাসা হয়ে পরে। সামনে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয় আর পিছে ফেরার উপায় ছিল না। গাড়িগুলো ফেলে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসে তারা।
দেশে ফিরে যাওয়ার পর তারা গাড়িগুলা ফেরত নিয়ে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার থেকে জানানো হয় শিপিং খরচ নিজেদের বহন করতে হবে। অত্যাধিক খরচের কারণে কোনো গাড়িই আর ফেরত নেয়া হয় না। আর সেই জ্যামে আটকানো সারিবদ্ধ গাড়ি নির্জনে পরে থাকে ৭০ বছর।
বছরের পর বছর পড়ে থেকে মসৃন রাস্তা থেকে ধীরে ধীরে ঘন জঙ্গলে পরিনত হয় জায়গাটি। পৃথিবীর বৃহত্তম এই গাড়ী কবরস্থানটি পরিষ্কার করা ২০১০ সালে পরিবেশগত সমস্যার কারণে।