দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এইচএসসির ফলাফল বেরিয়েছে মাত্র ক’দিন। কিন্তু ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। কারণ এবার পাশ করেছে ৯ লাখ। অথচ সারাদেশে সব মিলিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য আসন রয়েছে ৭ লাখের মতো। এমন পরিস্থিতিতে কারিগরি ও ভোকেশনাল বিভাগের দিকে মনোনিবেশের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে জানুন – “১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি জেনে নিন”
২০১৪ সালের এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই দেশজুড়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিন্তার অন্ত নেই। ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির চেষ্টা সকলেই করবেন। কিন্তু এসব ভালো মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা একেবারেই কম। আবার গড়পরতা উচ্চ শিক্ষার যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেশে রয়েছে সেগুলোতেই আসন সংখ্যা পাশের তুলনায় বা জিপিএ ৫ এর তুলনায় একেবারেই কম। তাহলে পাশ করা এসব শিক্ষার্থীদের কি হবে? সে চিন্তায় উদ্বিগ্ন সবাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পছন্দের প্রথম সারির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আসন রয়েছে ২০ হাজার। অপরদিকে বুয়েটসহ ১২টি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ২২টি মেডিক্যাল কলেজ, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন রয়েছে ১১ হাজার। সব মিলিয়ে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে মাত্র ৩২ হাজার শিক্ষার্থী। অথচ জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে দেশে সব মিলিয়ে ৭৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। অপরদিকে সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে আরও ৫ লাখ শিক্ষার্থী। অথচ এবার পাশ করেছে ৯ লাখ শিক্ষার্থী। তাই হিসাব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, অন্তত ২ লাখ শিক্ষার্থীর ভর্তি অনিশ্চিত!
এমন এক পরিস্থিতিতে শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। তাছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানও বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠানো বাড়ানো ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান না বাড়ালে দেশের ভবিষ্যত নাগরিকরা মানসম্পন্ন উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কারিগরি বিভাগের প্রতি আগ্রহী করে তোলা দরকার। টেকুনিক্যাল ও ভোকেশনাল বিভাগে পড়া-লেখা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।