দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবন-যাত্রারও পরিবর্তন ঘটছে। বিশেষ করে রোবট আবিষ্কারের পর থেকে এই রোবট দিয়ে পৃথিবীর অনেক কাজ করা হয়ে থাকে। তবে এবার রোবটকে ব্যবহার করা হচ্ছে গোয়াল ঘরে। গোয়াল ঘরে রোবট গরুকে খাওয়ানো থেকে সব কাজ করছে। এমনকি গরুকে গোসলও করাচ্ছে!
প্রযুক্তির উৎকর্ষে মানুষের জীবন-যাত্রার পরিবর্তন ঘটছে ক্রমেই। মানুষ এখন সর্বক্ষেত্রে আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকেই ঝুঁকছেন। প্রযুক্তির এক উদ্ভাবন রোবট। এটি পৃথিবীতে বিভিন্নভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই রোবট মিল, কল, কারখানা থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বড় বড় গাড়ি কোম্পানিগুলো গাড়ির মেশিন লাগানো থেকে শুরু করে রং করা প্রায় অনেক কাজই এই রোবট দ্বারা সম্পন্ন করে থাকেন।
এবার রোবটকে শুধু মানুষের জন্য নয়, পশুপাখির জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে৷ জার্মানরা এখন গোয়াল ঘরে ব্যবহার করছেন এই রোবট৷ গরুকে খাওয়ানো হতে শুরু করে দুধ দোয়া, এমনকি গোসল সবই করে দিচ্ছে এই রোবট। গরুর গোয়ালের কাজের জন্য আর মানুষের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে না।
এই রোবটটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, আল্ট্রাসাউন্ডের ভিত্তিতে নিজের রাস্তা নিজেই খুঁজে নেয় ইউনো (রোবট)৷ তবে কোথায়, কতবার রোবটটি যাবে তা আগে থেকেই প্রোগ্রাম করা থাকে৷
জার্মানির এক দুগ্ধ খামারে ব্যবহার করা হচ্ছে এই রোবটটি। ওই খামারের ম্যানেজার লিসা রুসিশ এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের ইউনো বেশ করিৎকর্মা৷ ইউনো দিনে অন্তত ১২ বার গরুর জন্য খাবার নিয়ে আসে৷ আগেই প্রোগ্রাম করা থাকে তাই সে যথারিতি কাজগুলো সম্পাদন করে সে৷ এমনকি গরুর গোবরও নিয়মিতভাবে সরিয়ে নেয় একটি রোবট। আবার ছোট্ট একটি রোবট তাজা বালু ছিটিয়ে দেয় এসব স্থানে৷’
ম্যানেজার লিসা রুসিশ আরও বলেছেন, ‘গরুরা ইউনোকে অনেক ভালোবাসে৷ এভাবে গরুকে প্রয়োজনমতো এবং নিয়ম মেনে খাবার সরবরাহ করা সম্ভব হয়৷ যে কারণে দুধের উৎপাদন বাড়াতেও সহায়ক ভুমিকা রাখছে৷’ কারণ মানুষ কাজ করতে গেলে সময়ের কিছুটা তারতম্য হয়ে থাকে। কিন্তু প্রোগ্রাম করে রাখার কারণে রোবটের বেলায় সময়গুলো একেবারেই নিয়মতান্তিক।
তিনি আরও বলেছেন, ‘গরুর দুধ দোয়াতেও এই রোবট ব্যবহার করা হয়। শুরুতে এটি দুধের বোঁটা পরিষ্কার করে৷ এরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই দুধ দোয়ানোর কাজ শুরু হয়ে যায়।’
তিনি জানান, এভাবেই প্রতিটি গরু থেকে প্রতিদিন ৬০ লিটার করে দুধ বের করে রোবট৷ আবার আর গরুর ঘাড়ে একটি ট্রান্সপন্ডার লাগানো থাকে৷ যে কারণে রোবট গরুকে চিনতেও পারে৷
http://www.youtube.com/watch?v=gjmWVh4e5bg
জানা যায়, বছর খানেক ধরে চলছে এই গরুর খামারটি৷ এখানে স্থানীয় কৃষি উন্নয়ন সংঘের ৫ মিলিয়ন ইউরোর মতো খরচ করেছে এই দুগ্ধ খামারটিতে ৷ ৫শ’ গরুর জন্য এই বিনিয়োগ সত্যিই সার্থক হয়েছে।