দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় তিন যুগের কাছাকাছি হয়ে এলো স্বাধীনতা যুদ্ধের। কিন্তু আমরা এমন এক জাতিতে বসবাস করছি যে, এখন পর্যন্ত স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস মানুষের নাগালের বাইরেই রয়ে গেলো। এবার স্বাধীনতা যুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করে চরম বিতর্কিত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এক সংগঠক এ কে খন্দকার। এখন তিনি নিজ গ্রামেও ‘অবাঞ্ছিত’।
আমাদের দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বারংবার বিকৃতি ঘটছে। এরজন্য দায়ি আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা। স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনও নানা সময় রাজনৈতিক কারণে ভিন্ন মত পোষণ করে থাকেন। সে কারণে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জাতি এখনও দেখতে পায়নি। এবার এমনই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে ‘তথ্য বিকৃতি’র জন্য বর্তমান সরকারেরই সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকার চরম বিতর্কে জড়িয়ে গেছেন। তাকে তাঁর নিজ গ্রাম পাবনার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গায় ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় মিছিল শেষে মুক্তিবাহিনীর উপঅধিনায়কের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর পর তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ওই গ্রামের বাসিন্দারা। ভারেঙ্গা গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক গোষ্ঠী নামে একটি সংগঠন রবিবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সন্ধ্যায় ওই গ্রামের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ হতে মিছিলটি বের হয়ে প্রধান সড়ক ঘুরে একই স্থানে এক সমাবেশ করে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এ কে খন্দকারের লেখা ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ প্রকাশের পর হতে চরম সমালোচনার মধ্যে পড়েন বীরউত্তম খেতাবধারী এই মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ৭ মার্চ স্বাধীনতার ডাক দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শেষ হয়েছিল ‘জয় পাকিস্তান’ বলার মাধ্যমে।
বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে চরম সমালোচনা শুরু হয়েছে। জাতীয় সংসদেও এ কে খন্দকারের লেখা বই নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে। সংসদ সদস্যরাও সমালোচনা করেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির উদ্দেশ্যে এমন ‘বিকৃত তথ্য’ উপস্থাপনের বিরুদ্ধে।