দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবোলা ভাইরাসে আক্রান্তের চিকিৎসায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তির রক্ত প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করতে পারে- বিশেষজ্ঞরা এমনটিই মনে করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রাণঘাতী এবোলা ভাইরাসে আক্রান্তর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ পর্যন্ত ২ হাজার ১শ’ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবোলা ভাইরাসে। যারা এ সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের প্রাণহানির হার প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এবোলা আক্রান্ত হয়েও যে রোগীরা বেঁচে গেছেন, তাদের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে এবোলা আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসা করা উচিত। এবোলা ভাইরাসে আক্রান্তের চিকিৎসায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তির রক্ত প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ ড. ম্যারি পল কিয়েনি জানান, ‘এবোলা সংক্রমণে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের রক্ত, আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে দেশগুলোকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’ গেলো সপ্তাহে জেনেভায় এক সম্মেলনে জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থাটি ২শ’ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞকে পরীক্ষামূলক চিকিৎসা এবং প্রতিষেধকের বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে এবোলা ভাইরাসে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে বহু মানুষ মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে আরও বহু মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এ বিষয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে করে এই প্রাণঘাতি এবোলা ভাইরাসের জীবাণু আর কোনো দেশে ছড়িয়ে না পড়ে।
ইবোলা ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন: ছড়িয়ে পড়ছে ইবোলা ভাইরাস: মোকাবেলায় যা কিছু জানা জরুরি