দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ‘বঙ্গ বিভূষণ’ প্রদানের মঞ্চে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কোলকাতায় যাওয়া হলো না কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ফিরোজা বেগমের।
ফাইল ফটো
ফিরোজা বেগম ছিলেন দুই বাংলার শিল্পী। ঢাকা থেকে কোলকাতা তাঁর ছিল অবাধ বিচরণ। পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে শোকবার্তা লিখেছেন, ‘এই শিল্পী দুই দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে মেলবন্ধন তৈরি করেছিলেন।’ ২০১২ সালে ফিরোজা বেগমকে ‘সংগীত মহাসম্মান পুরস্কার’ নিজ হাতে প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় কোলকাতায় গিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন ফিরোজা বেগম।
এবার ‘বঙ্গ বিভূষণ’ প্রদানের মঞ্চে তাকে আমন্ত্রণ জানালে মমতা ব্যানার্জির ডাকে তিনি কোলকাতায় যেতে রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু নিয়তির তাঁর সে আশা পূর্ণ করেনি। কোলকাতায় যাওয়ার আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন এই নজরুলসম্রাজ্ঞী ফিরোজা বেগম। তার এই হঠাৎ চলে যাওয়ায় শোকের ছায়া শুধু বাংলাদেশ নয়, কোলকাতার শিল্প-সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও পড়েছে।
ফিরোজা বেগমের চলে যাওয়া নিয়ে ওপার বাংলার কণ্ঠশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা বলেন, ‘সবাই একে একে চলে যাচ্ছেন। মাথার ওপর ছাদটা ক্রমেই কেমন যেনো ফুটো ফুটো হয়ে যাচ্ছে।’
হৈমন্তী শুক্লার পরিবারের সঙ্গেও ফিরোজা বেগমের সম্পর্ক ছিল অনেক আগে থেকেই। সেইসব দিনের স্মৃতিচারণে হৈমন্তী বলেন, ‘ফিরোজা বেগমের সঙ্গে আমার বাবা হরিহর শুক্লার বহু দিনের যোগাযোগ ছিল। ফিরোজা বেগমের সঙ্গে কমলবাবুর বিয়ের পরে ওঁরা একসঙ্গে আসতেন শ্যামবাজারে বাবার গানের স্কুলে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যেতো গল্পে-গানে।’
স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে হৈমন্তী শুল্কা আরও বলেন, ‘সেই ছোট থেকে দেখে আসছি ফিরোজা বেগম ছিলেন বড্ড শৌখিন এক মানুষ। সোনার কাজ করা শাড়ি পরে এসে বসতেন। ওঁরা চলে যাওয়ার পরে, গানের স্কুলের সকলে মিলে বসার জায়গাটা ঝেড়েঝুড়ে দেখত। ওর শাড়ি থেকে ঝরে পড়া সোনার কুচি পড়ে নেই তো!
উল্লেখ্য, উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগম গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।