দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হিজাব পরা কতখানি উপকারী তা আবারও প্রমাণ হলো। সমপ্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্ষণ ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই হিজাব পদ্ধতিটি সামনে উঠে এসেছে। ভারতের একটি রাজ্যেও মহিলা ও ছাত্রীদের হিজাব বাধ্যতামূলক করেছে। এবার সেই আলোকেই অমুসলিম নারীদের হিজাব পরার আহ্বান জানিয়ে পালিত হলো বিশ্ব হিজাব দিবস। ধারণা করা হচ্ছে, এ উদ্যোগ ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও বোঝাপড়ার পথ আরও প্রশস্ত করবে।
ব্রিটেনের নরউইচের শিক্ষার্থী জেস রডস (২১), হিজাব দিবসে এই অমুসলিম তরুণী মাথায় হিজাব পরে ছিলেন। তিনি জানান, আগেও তিনি হিজাব পরতে চেয়েছিলেন, তবে মুসলমানদের পোশাক বলে তা তিনি পরেননি। হিজাব দিবসে এক বন্ধু তাকে এটি পরতে দিলে তিনি সুযোগটি কাজে লাগান। জেস বলেন, ‘ওই বান্ধবী আমাকে বলেছে, এটি পরার জন্য মুসলমান হতে হয় না। ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলেও আসলে বিষয়টি শালীনতার সঙ্গে জড়িত।’ খবর বিবিসির।
গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো পালিত হয় বিশ্ব হিজাব দিবস। এদিন জেসের মতো কয়েকশ’ অমুসলিম নারী হিজাব পরিধান করেন। নিউইয়র্কের নাজমা খান এ দিবসের উদ্যোক্তা। মূলত সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোর মাধ্যমে আন্দোলনটি গড়ে ওঠে। ৫০টির বেশি দেশে শত শত মুসলিম ও অমুসলিম নারী অংশ নেন হিজাব দিবসের কর্মসূচিতে। অনেক লোকের কাছেই হিজাব হচ্ছে নিপীড়ন ও বিভেদ সৃষ্টির প্রতীক। পশ্চিমা অনেক দেশেই হিজাবের বিরুদ্ধে জনমত রয়েছে। এসব বিতর্কের জবাব দিতেই দিবসটির জন্ম।
উল্লেখ্য, এখন সময় এসেছে নারীদের আব্রু পরিধানের। সারাবিশ্বেই নারীদের ওপর এক শ্রেণীর পুরুষদের আক্রমণ সামপ্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বের শুধু মুসলিম নয় অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নারীদের হিজাব পরার গুরুত্ব বুঝতে পারছেন।