দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক বাংলাদেশি নাগরিক কাজী নাফিস আগামী সপ্তাহে আদালতে তার অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেবেন। অপরাধ স্বীকারের জন্য তার শাস্তি কমতে পারে। খবর বিবিসির।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তার এই স্বীকারোক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের ব্রুকলিনের পূর্বাঞ্চলের জেলা আদালতের মুখপাত্র রবার্ট নারডোজা নাফিসের স্বীকারোক্তি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৩১ জানুয়ারি নাফিস তার এই সিদ্ধান্তের কথা আদালতকে জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন এই মুখপাত্র। ওই আদালতের বিচারপতি ক্যারল আমনের এজলাসে নাফিসের মামলা চলছে।
অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়ার জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নাফিসের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত রীতি অনুসারে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয়ার সুযোগ দেয়া হয় এবং স্বীকার করলে তার শাস্তি কমিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করলে মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয় এবং সেক্ষেত্রে শাস্তি কমার কোন সম্ভাবনা থাকে না। আদালতের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, বিচার শুরুর আগেই দোষ স্বীকারের প্রেক্ষিতে নাফিসের খুব কম সময় কারাদণ্ড হতে পারে। কারাদণ্ড ভোগের পর তিনি নিজ দেশ বাংলাদেশে মা-বাবার কাছে ফিরে আসতে পারবেন।
গত বছরের জানুয়ারি মাসে ছাত্র ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া নাফিসকে গত অক্টোবর মাসে এক স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবি আই। তার বিরুদ্ধে বিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ভবন উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা এবং আল কায়েদার সঙ্গে সংশিস্নষ্টতার অভিযোগ আনা হয়। তবে ঢাকায় নাফিসের পরিবার এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।