দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষতা এমন একটি জিনিস যা কেও কখনও কেড়ে নিতে পারে না। সেটি আপনার কাজের ক্ষেত্রে বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে হোক। তবে দক্ষতা অর্জন সকলের জন্যই অত্যাবশ্যক।
যেমন আপনি যদি পেশাগত দায়িত্ব পালনের কথা বলেন সেখানেও প্রয়োজন দক্ষতা। দক্ষতা ছাড়া আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাকরি পাবেন না। প্রথমেই আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে আপনার কি কি দক্ষতা রয়েছে। যদি আপনার দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি চাকরি পাবেন খুব সহজে। নচেত অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে আপনাকে।
আবার আপনি পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় যদি আপনার দক্ষতার পুরো ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে আপনি সহজেই কর্তৃপক্ষের নজরে আসতে পারবেন। আবার অনেক সময় বৈচিত্র্য বা চমক দেখাতে না পারলে কর্মক্ষেত্রে সামনে এগোনো প্রায় কঠিন হয়ে পড়ে। তাই প্রথাগত কাজের সঙ্গে আপনার দরকার সবকিছু দক্ষতা অর্জন করা। এই দক্ষতা তাই সব পেশাতেই কাজে লাগে। এখন আপনার কাছে প্রশ্ন হতে পারে কি সেসব দক্ষতা? আসুন দেখা যাক কি কি দক্ষতা আপনার থাকা একান্ত দরকার।
আপনি যে পেশা বা যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই যুক্ত হোন না কেনো, আপনাকে অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ে প্রায় সবকিছুই তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে। আবার প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজও বর্তমানে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে। আর তাই আপনি যে পেশা বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই যুক্ত হোন না কেনো, অবশ্যই আপনাকে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে হবে।
তথ্যপ্রযুক্তিগত জ্ঞান না থাকলে একজন পেশাজীবীকে তার কর্মক্ষেত্রে পঙ্গু হয়ে থাকতে হয়। কম্পিউটারের সাধারণ ব্যবহারের পাশাপাশি ছোটখাটো সমস্যা নিজে নিজে সমাধান করতে পারা জানা দরকার। কম্পিউটারে বাংলা ও ইংরেজি দ্রুত, নির্ভুলভাবে টাইপ করতে পারা, ইন্টারনেটের ব্যবহার জানা, যেমন ই-মেইল করা বা তার উত্তর দেওয়া ইত্যাদি জানা সকলের জন্য জরুরি।
আবার পেশার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন সফটওয়্যারের ব্যবহার জানাও একান্ত দরকার। পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপনা করার বিষয়টিও জানতে হবে। এক কথায় বলতে গেলে, কোনো প্রতিষ্ঠানেই তথ্যপ্রযুক্তির অজ্ঞতা থাকা চলবে না।
তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে আরেকটি বিষয় জরুরি তা হলো যোগাযোগ স্থাপন। এটি ছাড়া আমরা কেওই চলতে পারি না। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে চারপাশের মানুষের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলার কোনো বিকল্প নেই। আর পেশার ক্ষেত্রে সফলতার জন্য যোগাযোগের কৌশল খুবই দরকারি একটি বিষয়। যে যতো বেশি অভিজ্ঞ হবে, তার কাজ করা তত বেশি সহজ হবে। আবার এর ওপর নির্ভর করে সে ব্যক্তি সফলতার মুখ দেখতে পাবেন। আর একটি জিনিস হলো আত্মবিশ্বাস। এটি না হলে শুধু পেশাগতভাবেই নয় জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই সাফল্য আসবে না। নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপনা করার কৌশল জানা সকরের জন্য দরকারি একটি বিষয়।
আর একটি বিষয় পেশাগত বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত আর তা হলো ভাষাগত দক্ষতা। প্রতিটি পেশার ক্ষেত্রেই এটি একটি দরকারি বিষয়। নির্ভুল ও স্পষ্টভাবে কথা বলার দক্ষতা থাকা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। আবার বাংলায় নির্ভূলভাবে কথা বলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও ভালো বলতে পারা ও লেখার দক্ষতা পেশাগত জীবনে একটি জরুরি বিষয়। আবার যারা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চান, তাদের প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মতো বিভিন্ন দেশের ভাষাও শিখতে হবে। একাধিক ভাষা জানা থাকলে সব দিক থেকেই ভালো। কর্মক্ষেত্রে যেমন আপনি এসব সুবিধাগুলোর ব্যবহার করতে পারবেন ঠিক তেমনি আপনার প্রাত্যহিক জীবন-যাত্রাতেও একজন সফল মানুষ হিসেবে সমাজের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবেন। তাই সব বিষয়েই দরকার অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা বা দক্ষতার বিকল্প হতে পারে না।