দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই যুগে এসেও অসভ্য বর্বর যুগের মতো ঘটনা চোখে পড়ে। এমনই একটি নির্মম ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোতে। ৪৩ শিক্ষার্থীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে!
গত মাসের ২৬ তারিখে নিখোঁজ হয়েছিল মেক্সিকোর একটি স্কুলের ৪৩ শিক্ষার্থী। চাঞ্চল্যকর অপরহণের ঘটনা নিয়ে সমগ্র মেক্সিকোজুড়ে তৈরি হয় এক ধূম্রজাল। অবশেসে সেই জট খুলতে শুরু করেছে। মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল জুসাস মুরিললিও গত শুক্রবার দাবি করেছেন যে, সন্দেহভাজন মাদক চোরাচালান চক্রই অপহৃত সব শিক্ষার্থীদের হত্যা করেছে এবং হত্যার পর শিক্ষার্থীদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলেছে।
গত সপ্তাহে ওই অপহরণ চক্রের ৩ সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অ্যাটর্নি জেনারেল জুসাস মুরিললিও আরও জানান, ওই ৩ সদস্য শিক্ষার্থীদের হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২৬ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোর ইগুয়ালা রাজ্যের মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে করেন ওই রাজ্যের আয়োতজিনাপা জেলার একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। ওই রাতেই পুলিশ তাদের আন্দোলন থামাতে ৬ জনকে গুলি করে হত্যা করে। এই সময় ৪৩ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। এ অপহরণে জড়িত সন্দেহে ইগুয়ালার মেয়র এবং তার স্ত্রীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
আটক মাদক চক্র সদস্যদের বরাত দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আরও জানান, শিক্ষার্থীদের শ্বাসরোধ করে ও গুলি করে হত্যার পর তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের রেকর্ড করা বক্তব্যও শোনান ওই জেনারেল। এতে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে একটি বড় ট্রাকে ইগুয়ালার নিকটবর্তী পাহাড়ি শহর কোকুলাতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাদেরকে হত্যা করা হয়।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও জানা যায়, নিখোঁজ শিক্ষার্থীর স্বজনেরা কোকুলার একটি নদীর তীরে ৬টি বিকৃত লাশের বস্তা খুঁজে পেয়েছেন। লাশের অবস্থা বিকৃতি হওয়ায় তাদের চিহ্নিত করা যায়নি। এই লাশগুলোকে শনাক্ত করতে দ্রুত ডিএনএ টেস্ট করানো হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল জুসাস মুরিললিও।