দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশব্যাপী আজ শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। সকাল ১১টা হতে শুরু হয়ে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
ফাইল ফটো
আজ দেশব্যাপী শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও সুশৃংখল পরিবেশে গ্রহণ করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। সকাল ১১টা হতে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে এবার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় রাখা হয়েছে। এবারও ফলাফল গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশ করা হবে।
এবছর প্রাথমিক সমাপনীতে সম্ভাব্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭ লাখ ৯৯ হাজার ৬১৩ জন। অপরদিকে ইবতেদায়ীতে ৩ লাখ ১১ হাজার ২৬৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, আগামী ২৮ ডিসেম্বর প্রাথমিক এবং ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা রয়েছে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগামী ২০ জানুয়ারি সনদপত্র দেওয়া হবে। এবার এক উপজেলার উত্তরপত্র অন্য উপজেলায় পাঠিয়ে মূল্যায়ন করা হবে বলে জানা গেছে। প্রশ্নপত্রের প্যাকেট পূর্বের ন্যায় সিলগালা না করে এবার ‘সিকিউরিটি টেপ’ ব্যবহার করা হবে বলেও জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায়।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল হতে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। আর ইবতেদায়ীতে এই পরীক্ষা শুরু হয় ২০১০ সালে। প্রথম দুই বছর বিভাগভিত্তিক ফল দেওয়া হলেও ২০১১ সাল হতে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল দেওয়া হচ্ছে। পূর্বে দুই ঘণ্টা সময় থাকলেও গত বছর হতে এই পরীক্ষার সময় আধা ঘণ্টা বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর হতে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর মোট ২৯ লাখ ৫০ হাজার ১৯৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।