দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদি নানা কর্মকাণ্ড সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। এবার প্রসঙ্গ এসেছে মোদির স্ত্রীর। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই স্বামী মোদির ডাকের অপেক্ষায় রয়েছেন যশোদাবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তাঁরই স্ত্রী যশোদাবেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে যশোদাবেনের সঙ্গে বিয়ে হয় মোদির। কিন্তু বিয়ে হলেও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সংস্পর্শে আসার কারণে মোদি সংসার ধর্ম হতে দূরে সরে যান। সেকারণে তখন হতেই স্ত্রী যশোদাবেনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মোদির।
অবশ্য দীর্ঘ ৪৫ বছর পর নরেন্দ্র মোদি তার স্ত্রীকে স্বীকৃতিও দিয়েছেন গুজরাটের ভদোদরা আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়। নরেন্দ্র মোদি মনোনয়নপত্রে স্ত্রীর নাম লেখেন যশোদাবেন।
জানা যায়, ১৯৬৮ সালে যশোদাবেনকে বিয়ে করেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর আরএসএসের সক্রিয় কর্মী হিসেবে মোদি সংসার ধর্ম ত্যাগ করেন। তারপর হতে যশোদাবেনের খোঁজ রাখেননি মোদি। যশোদাবেনও চলে যান গুজরাটের মেহসানা জেলার ঈশ্বরওয়ারা গ্রামে তার নিজের ভাইদের কাছে। ভাইয়েরা তাকে বিয়ে দিতে চাইলেও তিনি আর বিয়ে করেননি। একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা হিসেবে এখনও তিনি ওই গ্রামে পেনশন নিয়ে ভাইদের সঙ্গেই বসবাস করছেন।
মুম্বাইয়ের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকায় যশোদাবেনের একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়। এরপর সেই সূত্র উল্লেখ করে গতকাল রবিবার কোলকাতার বাংলা দৈনিক এবেলা এক প্রতিবেদনে জানায় যে, ‘যশোদাবেন এখনও মোদির ডাকের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।’