দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উত্যক্ত করার প্রতিবাদে চলন্ত বাসে তিন তরুণকে আচ্ছা মতো ধোলাই দিলো দুই বোন। ভারতের এই ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে গত দু’দিনে তুমুল হৈ চৈ পড়ে গেছে।
নারীরা যে অবলা নয়, তার প্রমাণ করলেন ভারতের দুই বোন। বাসের মধ্যে তিন তরুণ যখন তাদের উত্যক্ত করছিল তখন আচ্ছা মতো ধোলাই দিলো ওই দুই সহোদর বোন। এই ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভিডিও প্রকাশের পর গত দু’দিনে তুমুল হৈ চৈ পড়ে গেছে। চলন্ত বাসে তিন তরুণকে দুই বোন মিলে উত্তম-মাধ্যম দেওয়ার সেই দৃশ্য এখন ভারতে ‘টক অব দ্য টাউন’।
শুক্রবার ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে একটি বাসে এই ঘটনাটি ঘটে। দুই বোন আর্টি ও পুজার বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায়, তারা বাসে যাওয়ার সময় ওই তিন তরুণ তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে তারা দু’বোনের শরীরে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করা শুরু করে। তাই আত্মরক্ষার্থে কোমরের বেল্ট খুলে তাদের পেটানো শুরু করে এই দুবোন।
রোহটাক জেলার ওই ঘটনা সম্পর্কে দুই বোন আর্টি ও পুজা বিবিসি হিন্দিকে বলেন, তিন তরুণ আমাদের হুমকি ও লাঞ্ছিত করার হুমকি দেয়। শরীরে হাত দিলে পেটানো হবে এমন হুমকির পরও তারা থামছিল না। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও গায়ে হাত দিয়ে যাচ্ছিল।
২২ বছর বয়সী আর্টি ও ১৯ বছল বয়সী পুজা বলেন, এমন ঘটনার সময় বাসে আরও অনেক লোক থাকলেও কেওই আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসলো না। তাই আত্মরক্ষার্থে কোমরের বেল্ট খুলে তাদের পেটানো শুরু করলাম। বাসের কেও যদি এগিয়ে আসতো তাহলে তারা ওই কাজ করতে পারতেন না।
কোনো এক যাত্রীর মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ওই দৃশ্যটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সব শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে। ওই ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তাদের সাহসের প্রশংসা করেছেন। এই ঘটনার পর অনেকেই বলেছেন, নারীদের এভাবেই প্রতিবাদি হতে হবে, নইলে কুপুরুষদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
এদিকে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ওই তিন তরুণ সেনাবাহিনীর একটি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। কিন্তু সোমবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর হতে কৃতকর্মের জন্য তাদের ফরম বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবারের ঘটনাটির পর পুলিশ ওই তিন তরুণকে আটক করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ এবং হত্যার পর নারীর প্রতি যেকোনো সহিংসতা ‘স্পটলাইটে’ চলে আসে। বিশ্বজুড়ে শুরু হয় এর প্রতিবাদ ও ধিক্কার।
দেখুন সেই তরুণদের পেটানোর ভিডিওটি
http://www.youtube.com/watch?v=FePWT2QavNY