দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে সহিংসতার মাত্রা দিনকে দিন বাড়ছেই। জিহাদি সহিংসতায় নভেম্বরে প্রতিঘণ্টায় ৭ জন হিসেবে একমাসে অন্তত ৫ হাজার নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
জিহাদী সহিংসতা দিনকে দিন বাড়ছেই। বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত। সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুধু নভেম্বর মাসেই বিশ্বব্যাপী জিহাদি সহিংসতায় অন্তত ৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে।
ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি) পরিচালিত সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি জিহাদি সহিংসতা কবলিত ৪টি দেশ ইরাক, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া ও সিরিয়ায় এই ৫ হাজারের ৮০ শতাংশই নিহত হয়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ র্যা ডিক্যালিসেশন যাকে সর্টে বলা হয়আইসিএসআর। এই সংগঠনটির সহযোগিতায় চালানো অনুসন্ধানে নভেম্বরে বিশ্বের সন্ত্রাসপ্রবণ ১৪টি দেশে ৬৬৪টি জিহাদি হামলার ঘটনা রেকর্ড করা হয়।
বিবিসি বলেছে, এক মাসে জিহাদি সহিংসতার বলি কতো হতে পারে, আর এ ধরনের সহিংসতার তাৎক্ষণিক ছবিটাই বা প্রকৃতপক্ষে কি, তা তুলে ধরতেই এই অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এই অনুসন্ধ্যানে দেখা গেছে, আল কায়েদা বা এই ধারা হতে উৎপত্তি হওয়া একই আদর্শের গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতায় নভেম্বরে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৭ জন নিহত হয়েছেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিদিন গড়ে এই ধরনের ২২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৬৮ জন করে নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সিরিয়া ও ইরাকে লড়াইরত একমাত্র ইসলামি স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের হাতেই নিহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। এক হিসাব অনুযায়ী নভেম্বর মাসে মোট নিহত হয়েছেন ৫,০৪২ জন। যারমধ্যে ২,০৭৯ জন বেসামরিক, ১,৭২৩ জন সামরিক ও প্রায় ১ হাজার জঙ্গি।
প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে ইরাকে। সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনাও ঘটেছে ইরাকে। মোট সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ ইরাকেই নিহত হয়েছেন।
এরপরে রয়েছে নাইজেরিয়া। সেখানেও অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশটির এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য জিহাদি গোষ্ঠী বোকো হারামকে দায়ী করা হয়েছে। অপরদিকে তৃতীয়তে রয়েছে আফগানিস্তান। তালেবানের সহিংসতায় এই দেশটি প্রাণঘাতী দেশে পরিণত করেছে। কিন্তু গৃহযুদ্ধ এবং আইএস’র তৎপরতা বেশি থাকা সত্বেও তুলনামূলকভাবে সিরিয়ায় অপর দেশগুলো হতে কম মানুষ নিহত হয়েছেন।
বিশ্বের প্রতিটি বিবেকবান মানুষ মনে করে, ইসলামের নামে যেসব জঙ্গী সংগঠনগুলো এসব সহিংসতার জন্য দায়ি তাদেরকে বিষয়টি অনুধাবন করার সুযোগ দিতে হবে। তারা যদি বুঝতে পারে যে, তারা যা করছে সেটি ইসলামপন্থি কাজ নয়, তাহলে তারা এসব সন্ত্রাস থেকে একদিন অবশ্যই বেরিয়ে আসবে।