দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিএলআরআই উদ্ভাবন করেছে নতুন জাতের ডিমপাড়া মুরগি। এই মুরগির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো আগের জাত ৮০ সপ্তাহে ডিমপাড়া বন্ধ করলেও এই জাত ১০০ সপ্তাহ পর্যন্ত লাভজনক হারে ডিম উৎপাদন করে।
নতুন জাতের ডিমপাড়া (লেয়ার) মুরগি উদ্ভাবন করলো বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)। উদ্ভাবিত এই নতুন জাতের মুরগির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিএলআরআই লেয়ার স্ট্রেইন-২’ বা ‘স্বর্ণা’।
বিএলআরআই সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণা মুরগির উদ্ভাবক বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক মো: নজরুল ইসলাম। নতুন জাতের মুরগি উদ্ভাবনের গবেষণায় আরও রয়েছেন বিএলআরআইয়ের গবেষক মো: রাকিবুল হাসান এবং মো: আবদুর রশিদ।
বিএলআরআই কর্তৃপক্ষের দাবি, খামারপর্যায়ে মুরগিটি লালন-পালন করে ইতিমধ্যেই এর উৎপাদনদক্ষতা যাচাইও করা হয়েছে। আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া গেছে এই নতুন জাতের। বর্তমানেও মুরগিটি দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঠপর্যায়ে নানাভাবে যাচাই করা হচ্ছে।
বিএলআরআই জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বরিশালের বাবুগঞ্জের হিজলারপুলে একটি মাঠ দিবসের আয়োজন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। এতে মো: নজরুল ইসলাম খামারীদের মাঝে মুরগিটির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন।
মো: নজরুল ইসলাম দাবি করে বলেন, ‘এই মুরগির বিশেষ গুণাগুণ হচ্ছে, এক দিন বয়সের বাচ্চার গায়ের রং দেখেই এটি মোরগ না মুরগি, তা সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব। এটি ১০০ সপ্তাহ পর্যন্ত লাভজনক হারে ডিম উৎপাদন করে। আবার ডিমের রং বাদামি এবং আকারেও বড়।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে খামারে যেসব মুরগি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয়ে থাকে, সেগুলো ৮০ সপ্তাহ পর্যন্ত লাভজনক হারে ডিম উৎপাদন করে।
নতুন উদ্ভাবিত মুরগিটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং ব্রিডিং কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারলে খামারিরা লাভবান হবেন বলে মনে করছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা।