দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতারা কখনও সবার কাছে সমানভাবে জনপ্রিয় হতে পারেন না। কিন্তু কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জনপ্রতিনিধি হিসেবে জিল্লুর রহমান সব দলের কাছেই সমানভাবে জনপ্রিয় ছিলেন।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান দলমত নির্বিশেষে সব ধরনের মানুষের কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্যতা ছিল একজন সংসদ সদস্য হিসাবে। সেজন্যেই ভৈরব-কুলিয়ারচর মানুষের ভালবাসায় তিনি এ এলাকায় বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তাঁর নির্বাচনী এলাকার প্রতিদ্বন্দ্বী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ আলমও শোকে বিহ্বল প্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে। তিনি রাষ্ট্রপতির আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকের কালো ব্যানার টানিয়েছেন ভৈরব দুর্জয় মোড়ে। এছাড়া শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় জিল্লুর রহমানের মরদেহে। নামাজে জানাজায় তাইতো লাখ লাখ লোকের সমাগম ঘটেছিল ভৈরবে। জানাজার পর ফুলের তোড়া নিয়ে মানুষের ঢল নেমেছিল। সময় স্বল্পতার কারণে অনেকেই অবশ্য ফুল দিতে পারেননি।
জিল্লুর রহমান নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দীকে কখনও চড়া গলায় কথা বলতেন না। এ বিষয়ে ভৈরবের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, “মো.জিল্লুর রহমান শুধু আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন না। তিনি ছিলেন সমস্ত ভৈরব বাসির। সুখে-দুখে সবার পাশে এগিয়ে আসতেন।”
এছাড়া ভৈরব বিএনপির আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “ওনার সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। উনি বিরোধী পক্ষকে কোনোদিন কটাক্ষ করে কথা বলতেন না। ওনার শেষ ইচ্ছেটুকু ছিল ভৈরবকে জেলায় উন্নীত করা। এখন তাঁর সুযোগ্য সন্তান সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন আন্তরিকভাবে তার বাবার এ স্বপ্নটুকু পূরণ করবেন, এটাই আশা করি।”
এক কথায় বলতে গেলে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছেই সমান গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। কাওকেই তিনি রাজনৈতিক বিবেচনায় দেখতেন না। এমন আলোচনা শোনা যায় জানাজার দিন। আর তাই জিল্লুর রহমানের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ভৈরবসহ সমগ্র কিশোরগঞ্জ ও দেশজুড়ে এক শোকের ছায়া নেমে আসে। হয়তো জাতি এক সময় তাঁর কথা ভুলে যাবে- সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কিন্তু এমন একজন নেতাকে আর হয়তো কোনদিন পাবে না বাংলাদেশের জনগণ।