দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার এক ব্যতিক্রমি এক কারণে এক খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দিয়েছে রেফারি। রেফারি লাল কার্ড দেওয়ার পর ল্যান্স পেরির মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো।
ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস ক্রিশ্চিয়ান প্রিমিয়ার লীগের দল রাউলি কলেজের এই খেলোয়াড় কল্পনাও করতে পারেননি যে এমন একটি কারণে তাকে মাঠের বাইরে যেতে হবে।
সানডে লীগ ফুটবলের মাঠগুলোতে একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে থাকে। উন্মুক্ত হওয়ায় মাঠে প্রায়ই কুকুর প্রবেশ করে এবং কুকুরগুলো সুযোগ পেলে সেরে নেয় তাদের ‘প্রাকৃতিক কাজটি’। এমনই এক ঘটনার জন্য অপ্রত্যাশিত ওই লাল কার্ড দেখতে হলো ল্যান্স পেরিকে। মাঠে এসে ‘প্রকৃতির ডাকে’ সাড়া দিয়েছিল এক কুকুর। সেই মল চোখে পড়েছিল পেরির। তিনি সতীর্থ খেলোয়াড়দের অবগত করেছিলেন, যেন খেলতে গিয়ে ওই মল তাদের গায়ে না লেগে যায়। ব্যস, অপরাধ এতটুকুই। পেরির এ কথা রেফারির কানে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পেরিকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়তে বলেন।
পেরি তার সতীর্থ খেলোয়াড়দের বলেছিলেন, ‘দেখো, খেলার সময় না কুকুরের শিট (মল) তোমাদের গায়ে লেগে যায়।’ ‘শিট’ শব্দটি রেফারির কাছে অশ্লীল মনে হয়েছিল। তাই তিনি পেরিকে লাল কার্ড দেখিয়েছেন।
রাউলি কলেজের ম্যানেজার পিট বেনেট বলেছেন, ‘ফাউল ভাষার প্রতি লীগের জিরো টলারেন্স রয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু রেফারি এটিকে একটু বেশি মাত্রায়ই অনুধাবন করে ফেলেছেন। পেরিকে যখন লাল কার্ড দেখানো হলো, আমরা বিশ্বাসই করতে পারিনি।’
লীগ শৃঙ্খলারক্ষাকারী কমিটির প্রধান মাইক ফেলস এ বিষয়ে বলেছেন, ‘মাঠে ব্যবহৃত শব্দটি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ‘শিট’ শব্দটি অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারিতে রয়েছে। তবে শব্দটি খারাপ অর্থে ব্যবহৃত হয়নি। তাই লাল কার্ডের জন্য পেরির ওপর যে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে, সেটি আমরা প্রত্যাহারও করে নিয়েছি।’