দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার কোনো উদ্বেগ নেই। মানুষ মাত্রই উদ্ভেগ ও উৎকণ্ঠা থাকবে এটিই স্বাভাবিক বিষয়। আজ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কমানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে।
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও দুশ্চিন্তার মধ্যে কোনোদিন পড়েননি এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। কম-বেশি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সবার জীবনেই আসে। তবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে সেই উদ্বেগের বিষয়গুলো কাটিয়ে ওঠা বড় একটি চ্যালেঞ্জ। মানুষ যখন কোনো দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হন, তখন তার কোনো লজিক বা বিচার-বুদ্ধি কাজ করে না। বরং চিন্তায় এবং উদ্বেগে মাথা এলোমেলো হযে মাথা খারাপ হয়ে যায়। খুব সহজ বিষয়গুলোও নানা ধরনের উলোট-পালট ঘটিয়ে ফেলে। এমনটিক খুব কাছের মানুষদের সঙ্গেও অহেতুক খারাপ ব্যবহার হয়ে যায়। এমনকি উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তার কারণে অনেক বড় ভুল সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে মানুষ। এখন আসুন কীভাবে খুব কম সময়ে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা দুর করবেন সে বিষয়গুলো আলোচনা করা যাক।
কি করবেন এমন পরিস্থিতিতে?
১. আপনার প্রথম কাজ হলো কতক্ষণ চোখ বন্ধ করে বসে থাকুন। এরপর লম্বা লম্বা নিঃশ্বাস নিতে থাকুন। এভাবে অন্তত ৫ মিনিট টানা নিঃশ্বাস নিন। এতে করে আপনার বুকের মাঝের চাপটা অনেকটা কমে যাবে।
২. দ্বিতীয়ত নিজের কাছেই স্বীকার করে নিন- আপনি দুশ্চিন্তা করছেন। সেইসঙ্গে নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনার এই দুশ্চিন্তা সত্য প্রমাণিত হয়নি। সেইসঙ্গে কতবার দুশ্চিন্তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে- সেগুলো মনে করুন।
৩. এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন। কেনো হচ্ছে দুশ্চিন্তা? দুশ্চিন্তার কারণটি সত্য হয়ে গেলে কী আপনার ক্ষতি হবে? সমাধানের উপায়ই বা কী? যদি সম্ভব হয় তাহলে এর একটা ব্যাক আপ প্ল্যান করুন। এতে করে আপনার মন অনেকটা হালকা লাগবে।
৪. আপনার মনে রাখতে হবে, দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগে ভোগা অবস্থায় মস্তিষ্ক আমাদের সঙ্গে ট্রিক করতে শুরু করে। আবার দুশ্চিন্তা বেশি বাড়লে নানা রকমের শারীরিক সমস্যার লক্ষণও দেখা দিতে পারে। এতে করে বুকের মাঝে চাপ বা বুকে ব্যথা অনুভব হতে পারে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। মনে রাখবেন, এগুলো সবই মস্তিষ্কের এক খেলা।
৫. আপনি নিজেকে বার বার জোরে জোরে বলুন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যে, এগুলো কোনো সমস্যা নয় এতে কিচ্ছু হবে না, ভাবুন এ সবই বাড়তি দুশ্চিন্তা। এতে সমস্যা সহজ হয়ে আসবে এবং মনের চাপ কমবে।
৬. আপনি নিজের পছন্দের কোনো সুন্দর স্থানের কথা ভাবুন। অথবা কোনো শান্ত ধরণের গান শুনুন। আবার শান্ত কোন সুন্দর ছবির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকুন। এতে করে আস্তে আস্তে আপনার মনের চাপ কমতে থাকবে।
৭. দুশ্চিন্তার কারণে আপনার কোনো কাজেই মন নাও বসতে পারে। তাই দুশ্চিন্তা কমাতে কাজে মন দিন। এতে করে আপনার দুশ্চিন্তা অনেক কমে যাবে।
এভাবে আপনি যখন কোনো সমস্যায় নিপতিত হবেন তখন মাথা খারাপ না করে ঠাণ্ডা মাথায় উপরোক্ত কাজগুলো করুন। তাতে আপনার দুশ্চিন্তা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।