দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। আজ শুক্রবার, ২ জানুয়ারী ২০১৫ খৃস্টাব্দ, ১৯ পৌষ ১৪২১ বঙ্গাব্দ, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৩৬ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
ছবিটি দেবীদ্বারের ঐতিহ্য ‘গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ’ এর ছবি। এটি নির্মাণশৈলির দিক হতে দেশের বিখ্যাত মসজিদগুলোর অন্যতম মসজিদ হিসাবে দাবি করা হয়ে থাকে।
এই ‘গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ’টি কুমিল্লা জেলা সদর হতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে উত্তর-পশ্চিম কোনে দেবীদ্বার পৌর এলাকায় ও দেবীদ্বার সদর হতে দুই কিলোমিটার পশ্চিম এবং সামান্য দক্ষিণে গুনাইঘর গ্রামে অবস্থিত।
নতুন এবং পুরাতন নির্মাণ পদ্ধতির সংমিশ্রণে অসংখ্য ক্যালিওগ্রাফিতে আঁকা ব্যতিক্রমধর্মী নির্মাণ শৈলির সাত গম্বুজ মসজিদটি দেশব্যপী দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ মসজিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ক্যালিওগ্রাফি এবং এর নির্মাণ কৌশল। মসজিদের চার কোণায় চারটি মিনার রয়েছে। চার মিনারের কোন মসজিদ বাংলাদেশে এটাই প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে।
মসজিদটির মিনারগুলোর উচ্চতা ৮০ফুট। এতে গম্বুজ রয়েছে ৭টি। মসজিদটি ৪৮ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩৬ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট। এ মসজিদের মূল অংশে শতাধিক মুসুল্লী নামাজ পড়তে পারেন। এ ছাড়া মসজিদটির বারান্দায় অর্থাৎ সামনের টাইলস করা খালি জায়গার মূল অংশের দ্বিগুণ মুসুল্লী নামাজ আদায় করতে পারেন।
এই মসজিদের উপরে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে বিভিন্ন রং’র বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদে লিখা ‘আল্লাহু’ শব্দটি রাতের অন্ধকারে তারকার মতো জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকে। অনেক দূর থেকেও এ আলো দেখা যায়। মসজিদটি’র পশ্চিম পার্শ্বে দৃষ্টি নন্দিত একটি ফল এবং ফুলের বাগান রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিশাল আকৃতির জলাধার। এর পাড়সহ চারদিকে শ্বেত পাথরে মোড়ানো।
এই মসজিদটি তৈরি করেছেন দেবীদ্বারের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মূন্সী। এটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। অর্থদাতাদের নাম পাথরের ফলকে লিখা রয়েছে। ২০০২ সালের ১০ জুলাই মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মূন্সী। ২৮ জন শ্রমিক টানা কাজ করে প্রায় আড়াই বছরে সমাপ্ত করেন এই মসজিদের নির্মাণ কাজ। ২০০৫ সালের ১৪ জানুয়ারী মসজিদটি প্রায় শতাধিক মুসুল্লী নিয়ে নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে উদ্বোধন করেন তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তথ্যসূত্র: newcomilla.blogspot.com এর সৌজন্যে।