দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। আজ শুক্রবার, ২৩ জানুয়ারী ২০১৫ খৃস্টাব্দ, ১০ মাঘ ১৪২১ বঙ্গাব্দ, ১ রবিউস সানি ১৪৩৬ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে মসজিদটি আপনারা দেখছেন এটি নওগাঁর জেলার মান্দা উপজেলায় আবস্থিত ঐতিহাসিক কুসম্বা মসজিদ। স্বচ্ছ সলিলা দীঘির পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত ধূসর বর্ণের পাথরের কুসম্বা মসজিদ।
কুসম্বা দীঘির দৈর্ঘ্য ১২৫০ ফুট এবং প্রস্তে ৯শ’ ফুট। কথিত রয়েছে যে, দীঘির পানিতে পারদ মিশ্রিত থাকার কারণে কোন আগাছা জন্মে না। মসজিদের দু’টি শিলালিপিতে প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে মানুষের মনে সংশয়ের সৃষ্টি করেছে। তবে কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথের শিলালিপি হতে প্রমাণিত হয় যে, এই মসজিদ ১৫৫৮ সালে শের শাহের বংশধর আফগান সুলতান প্রথম গিয়াস উদ্দিন বাহাদুর শাহের শাসনামলে (১৫৫৪-১৫৬০) নির্মিত হয়েছে।
মসজিদটি দৈর্ঘ্য ৫৮ ফুট ও প্রস্ত ৪২ ফুট। মসজিদটির দু’সারিতে ৬টি গোলাকৃতির গম্বুজ রয়েছে। রয়েছে কালো পাথরের নক্সাকাটা সুদৃশ্য ৩টি মিহরাব। দু’টি ছোট তবে মধ্যেরটি বেশ বড়। কিন্তু মসজিদটি নিয়ে বেশ কিছু কথা প্রচলন রয়েছে। অনেক বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলায় দুলতে থাকে অনেকের মন। কেওবা বলেন, ‘মসজিদটি এক রাতেই জ্বিনরা তৈরি করেছে।’ বাংলাদেশের পুরাতন এবং নতুন ৫ টাকার নোটে কুসম্বা মসজিদের ছবি রয়েছে।