দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টিকেট কাটতে গেলে পাওয়া যায়না। ট্রেনে ভিড়ে ওঠাও যায়না কিন্তু তাতে কি? তারপরও বছরে রেলের লোকসান হচ্ছে ৮৭৯ কোটি টাকা!
বিষয়টি অনেকটা হাস্যকর শোনা যায়। অনেকেই বলেন, এখন রেলের কোনো লোকসান নেই। হয়তো এক সময় লোকসান গুণতো রেল। কিন্তু এখন প্রচুর যাত্রী রয়েছে। বিনাটিকেটের যাত্রীও নেই বললেই চলে। কারণ স্টেশনে টিকিট কাটতে গেলে দেখা যায়, সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। কয়েকদিন আগে গেলেও টিকিট পাওয়া যায় না। আবার ট্রেনে চড়তে গিয়ে দেখা যায় প্রচণ্ড ভিড়। কিন্তু এতো কিছুর পরও দেখা যাচ্ছে রেলের লোকসান যায়নি।
বিষয়টি জানা গেলো গত পরশু সংসদের মাধ্যমে। ‘এক বছরে রেলের লোকসান ৮৭৯ কোটি ৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা’ বলে সংসদকে ওইদিন জানান রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী ‘২০১২-১৩ অর্থবছরে রেলের ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৬শ ৮৪ কোটি ৮৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা এবং আয় হয়েছে ৮শ ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।’ রবিবার দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্যের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী এই তথ্য দেন।
এ বিষয়ে মন্ত্রী যুক্তি দেখিয়ে বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্য, কর্মকর্তা এবং কর্মচারিদের বেতন, এমনকি প্রশাসনিক ব্যয়ও বেড়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে পরিবহনের মতো ট্রেনের ভাড়া আনুপাতিক হারে কখনও বাড়ে না। যে কারণে ট্রেনের আয় তুলনামূলক কম হয়।’ মন্ত্রী বলেন, ‘মূলত সরকার পাবলিক সার্ভিস অবলিগিশন বিবেচনায় ট্রেন পরিচালনা করে থাকে। এতে লাভ লোকসানের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরাদেশে রেলওয়ের ৩৩৯টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। এসব ট্রেনে মোট ১ লাখ ৬৭ হাজার আসন রয়েছে বলে সে পরিমাণ যাত্রী ধারণ করতে সক্ষম।’
রেলে ভ্রমণ জনপ্রিয় হওয়ায় মানুষ সব সময় রেলে ভ্রমণ করতে চান। কিন্তু সঠিক সময় ট্রেন না ছাড়া, টিকিট না পাওয়া বা টিকিট কাটতে গিয়ে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি কারণে রেলে ভ্রমণে মানুষ নিরুৎসাহিত হচ্ছে। তাছাড়াও নাশকতা, রেল লাইন উপড়ে রাখা, অন্যান্য সমস্যাতো রয়েছেই। রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হলে এসব সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।