দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় যখন সাধারণ মানুষ পেট্রোল বোমার কারণে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে ঠিক সেই সময় পেট্রোল বোমা হতে রক্ষার এক পদ্ধতি আবিষ্কার করলো এদেশের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা।
আমাদের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা এবার এমন এক পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন যা এদেশের সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ বর্তমান সময়ে চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনে প্রতিনিয়ত পেট্রোল বোমার আক্রমণে বহু মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এমন এক সংকটময় সময় আমাদের দেশের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা এগিয়ে এলেন তাদের এক নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে। তাদের আবিষ্কারে দেখা যায়, একটি আলোগাড়ির ছাদ ও ভিতরের চারপাশে টিউব লাগানো। টিউবে রয়েছে কার্বন ডাই–অক্সাইড (গ্যাস) এবং পানি। আর পেট্রোল বোমায় গাড়িতে আগুন ধরলেই টিউবটি গলে যাবে, তখন গ্যাস ও পানি বের হয়ে নিভে যাবে আগুন।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দেশের বর্তমান চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নাশকতায় পেট্রোল বোমার আগুন হতে বাসযাত্রীদের রক্ষায় খেলনা গাড়ির একটি মডেল বানিয়ে এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে রাজধানীর বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো: ইবাদুল্লাহ রূপম ও রাফিক ইরফান নামে দুই ক্ষুদে বিজ্ঞানী।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল চত্বরে ‘ফিজিক্স টেকনোলোজি ফেয়ারে’ তারা এই প্রদর্শনী নিয়ে হাজির হন। ‘পঞ্চম ডাচ-বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড’ উপলক্ষে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
কিভাবে এটি কাজ করবে সে বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে ইবাদুল্লাহ রূপম জানায় যে, টিউবে গ্যাসের সঙ্গে ৪০ শতাংশ পানি এবং পরিমাণমতো ড্রাই পাউডার ব্যবহার করা হবে। আগুন লাগলে টিউব গলে এটি নিভে যাবে। তাছাড়া গ্যাসের সঙ্গে পানি রাখলে মানুষের ক্ষতি হবে না।
রূপম আরও জানান, দুর্বৃত্তের ছোড়া পেট্রোল বোমায় গাড়িতে আগুন ধরলেই টিউব গলে গ্যাস ও পানি বের হয়ে আগুন নিভে যাবে। ‘পেট্রোল বোমার কারণে দেশে বর্তমানে অনেক সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে। এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে হতাহতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।’
উল্লেখ্য, এবারের টেকনোলজি ফেয়ারে দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের খুদে বিজ্ঞানীরা রেললাইনে নাশকতা বন্ধ, ৫০০ টাকায় ইসিজি যন্ত্র, কম খরচে গাড়ি চলাচল প্রক্রিয়া, তারবিহীন বিদ্যুৎ সংযোগ, পানি বিশুদ্ধকরণ, অতিরিক্ত ঘাম প্রতিরোধ যন্ত্র সহ ২৯টি উদ্ভাবন এবং ধারণা প্রদর্শন করে। তথ্যসূত্র: প্রথম আলো।