দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হরতাল-ধর্মঘট আর দেশজুড়ে অচলাবস্থা থাকলেও গত দুদিনের আলোচনার বিষয় ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফরে রওনা দেয়ার প্রসঙ্গটি। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় মুশফিকরা এমিরেটস এয়ারলাইনসে ঢাকা ছেড়েছেন। যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই যাচ্ছি, আশা করি ভালো কিছু অর্জন হবে আমাদের।”
বিকেল পৌনে ৫টায় জাতীয় ক্রিকেট দল হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখে। এরপর ক্রিকেটাররা নিজেদের ব্যক্তিগত কাজকর্ম সেরে নিলেন। প্রায় ৩০ মিনিট পর অধিনায়ক মুশফিক মিডিয়ার সামনে উপস্থিত হলেন জিম্বাবুয়ে সফর সম্পর্কে বক্তব্য দিতে। ২০১১ সালের আগস্টে একমাত্র টেস্টে হারের পর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাওয়া প্রসঙ্গে মুশফিক সাংবাদিকদের বলেন, “এই সফরে আমাদের ওপর চাপ থাকবে। কারণ, আয়ারল্যান্ড আর জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে খেলতে গেলে একটা বাড়তি চাপ থাকেই। তবে আমাদের ব্যাটসম্যানরা ফর্মে আছে, এটা আমাদের জন্য একটা ইতিবাচক দিক। আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই যাচ্ছি।” তামিম-সাকিব ফেরায় তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য দলে টিকে থাকা কঠিন হয়ে গেল কি না জানতে চাইলে মুশফিক আরও বলেন, “এটা তো দলের জন্য ভালো দিক। একটি পজিশন নিয়ে যখন কাড়াকাড়ি হচ্ছে, তখন বুঝতে হবে সবাই ভালো খেলছে। আর একাদশ নির্বাচন কীভাবে হবে, সেটা জিম্বাবুয়ে গিয়ে সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করবে।”
২০১১ সালের টেস্টে হারের সময় পিচ খুবই বাজে ছিল। শুধু আমরা নয়, জিম্বাবুয়েও কষ্ট করেছে। আমরা ফর্মে ছিলাম না বলে হেরেছি। আর একই কারণে জিম্বাবুয়েও বর্তমানে ভালো ক্রিকেট খেলছে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রতিটি ম্যাচেই জিম্বাবুয়ে বাজেভাবে হেরেছে। তারা খুব ভালো ফর্মে নেই। স্বাভাবিকভাবে সে সুযোগটা আমার নেব- বলে মন্তব্য করেন মুশফিক ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ দল এই সফরে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে আর দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অংশ নেবে। সফর শেষে ১৪ মে জাতীয় ক্রিকেট দলের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। আমরাও আশা করি- বাংলাদেশ দলের এবারের জিম্বাবুয়ে সফর সফল হবে।