দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে অনেক রকমের গাড়ি রয়েছে। নর্মাল বা বুলেটপ্রুফ গাড়ির কথা আমরা শুনেছি। কিন্তু এবার শুনলাম মহামূল্যবান ও দৈত্যকার এক সোনার গাড়ির কাহিনী।
যদিও এই গাড়িটি বহু পুরোনো। তবে এই গাড়ি নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। গাড়িটি বর্তমানে শোভা পাচ্ছে যাদুঘরে। সেই ১৯৮৮ সালে লিঙ্কন শহরের লিমোউসিন সড়কে গাড়িটি প্রথম চলেছিল। প্রকৃতপক্ষে এই গাড়িটি ছিল আসল সোনার প্রলেপের অর্থাৎ গোল্ড প্লেটের উপর নির্মিত একটি গাড়ি। জানা মতে, এটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম সোনায় মোড়া গাড়ি। গাড়িটির প্রতিটি অংশই ছিল সোনার কয়েনে আচ্ছাদিত।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই গাড়িটির ব্রিক তৈরি করা হয় নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কেন বারকিটের। গাড়িটির প্রতিটি ইঞ্চি সোনার কয়েন বা পাতে আচ্ছাদিত ছিল। তৈরির পর গাড়িতে কিছু পরিষ্কার এবং চকচকে কয়েন দিয়ে সিল দিয়ে দেওয়া হয়, যাতে দূর থেকেও এর অরোম্ভর বুঝতে পারা যায়।
জানা যায়, বর্তমানে এই গাড়িটি মেক্সিকোতে রিপ্লির সংগ্রহের অংশ হিসেবে জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। বর্তমান সময়ে এসে গাড়িটি একটি অমূল্য মূল্য ধারণ করেছে।
রিপ্লির জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘আমরা শুধু গাড়ীটিকে পানামা সিটি বিচ অডিটোরিয়াম হতে এনে নিজেদের মতো করে সংরক্ষণ করছি এবং সাধারণ মানুষকে গাড়ির সৌন্দর্য উপভোগের ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। আবার জনসাধারণকে গাড়িটির ওজন এবং মুল্য সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছি।’
সত্যিই যাদুঘরে গিয়েও দেখার মতো একটি গাড়ি বটে। সোনা বলে কথা!