দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসলামিক স্টেট আইএসে যোগদান করেছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত চার কানাডীয় কিশোর! এমন দাবি করেছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা। তবে বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে।
ইসলামিক স্টেট আইএসে যোগদান করেছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত চার কানাডীয় কিশোর! এমন দাবি করেছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা। তবে বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, আইএসের প্রকাশ করা একটি ভিডিওচিত্রের সূত্র ধরেই চার কিশোরের আইএসে যোগ দেওয়ার কথা দাবি করেছে কানাডার জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা। ওই খবরে বলা হয় যে, এন্ড্রু পলিন ওরফে আবু মুসলিম নামে এক কানাডীয় গত গ্রীষ্মে সিরিয়ায় আইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়। এরপর ওই ভিডিওচিত্রটি প্রকাশ করে আইএস।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার বলছে, ওই চার কিশোর হলো আবদুল মালেক, তাবিরুল হাসিব, নুর ও আদিব। এদের মধ্যে পুলিশ হাসিবের ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছে। কানাডায় জন্ম নেওয়া ওই চার কিশোরের সবাই স্কুলছাত্র। তাদের বয়স ২০ বছরের নিচে। এই ঘটনার পর তাদের বাবা-মা উদ্বিগ্ন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, এই চার কিশোর প্রথম নিখোঁজ হয় ২০১২ সালে। অভিভাবকেরা বিষয়টি তখনই টরন্টো পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ জানতে পারে যে, আইএসে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই আবু মুসলিমের সঙ্গে ওই চার কিশোর কানাডা ছাড়ে। সে সময় নিখোঁজ হওয়ার সপ্তাহ খানেক পর অভিভাবকেরা জানতে পারেন যে, তাদের সন্তানরা তখনও সিরিয়ায় প্রবেশ করেনি, তারা লেবাননে অবস্থান করছে। পরে তারা লেবাননে গিয়ে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ছেলেদের কানাডায় ফিরিয়ে আনেন। এ সময় জব্দ করা হয় তাদের পাসপোর্ট।
খবরে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালের ৬ জুলাই ওই চার কিশোর টরন্টো হতে পুনরায় নিখোঁজ হয়। এবার ওই চার কিশোর মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তুরস্কের উদ্দেশে টরন্টো বিমানবন্দর ছাড়ে। পরে ইস্তাম্বুল হতে টুইটারে বার্তা দেন মোহাম্মদ আলী। ওই বার্তায় সিরিয়ায় প্রবেশ করার পথ জানতে চান তিনি। এ ঘটনায় ওই চার কিশোরের বাবা-মা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন বার বার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। কিন্তু তাদের কোন খোঁজ মেলেনি।