দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গুপ্তচর আখ্যা দিয়ে এবার ইসরায়েলী এক কিশোরকে হত্যা করলো ইসলামিক স্টেট আইএস। ওই কিশোরকে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করেছে তারা।
ইসরায়েলী গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরের কাজ করছে, এমন অভিযোগে মুহাম্মদ মুসাল্লাম নামের এক ইসরায়েলী আরব কিশোরকে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসলামিক স্টেট আইএস। আইএস মঙ্গলবার নিজেদের অনলাইন গণমাধ্যম ‘ফুরকান’-এই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে।
তাতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার উদ্দেশ্যে মুসাল্লাম জিহাদি গোষ্ঠী আইএস’- এ নাম লিখিয়েছিলেন।
সংবাদ মাধ্যম বলেছে, ১৩ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কমলা রঙয়ের জাম্পস্যুট পরা ১৯ বছর বয়সী মুসাল্লাম একটি ঘরে বসে মোসাদ তাকে কীভাবে নিয়োগ করেছে এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছে তার বর্ণনা দিচ্ছেন। নিজের বাবা ও বড়ভাই তাকে এই কাজে উৎসাহিত করেছে বলে জানিয়েছেন মুসাল্লাম।
মুসাল্লামের কথা শেষ হলে তাকে পাহারা দিয়ে একটি খোলা মাঠে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই এক বালক তার মাথায় গুলি করে। এই বালককে ‘খিলাফতের সন্তান’ হিসেবে পরিচয় দেন আইএস’র এক ফরাসিভাষী সদস্য। ওই সদস্য ফরাসি ভাষায় মুসাল্লামকে দেওয়া দণ্ড পড়ে শোনান, এই সময় সে (মুসাল্লাম) মাটিতে হাঁটু গেড়ে ছিলেন। শাস্তি পড়ে শোনানোর পর সামরিক পোশাক পরিহিত পিস্তলধারী ওই বালক এসে মুসাল্লামের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তার কপালে একটি গুলি করেন। মুসাল্লাম পড়ে যাওয়ার পর বালকটি তাকে লক্ষ করে আরও অন্তত ৩টি গুলি করে ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি উচ্চারণ করেন।
আইএস’র সমর্থকরা ওই ভিডিওটি ট্যুইটারেও পোস্ট করেছে। এই ভিডিওটির সত্য কিনা, তাৎক্ষণিকভাবে অবশ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো বলেছে। ইসরায়েলী নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও বলেছেন, তারা ভিডিওটি দেখেছেন, কিন্তু এটি আসল কিনা তা তারাও নিশ্চিত নন।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসে আইএস’র ইংরেজি ভাষার সাময়িকী ‘দাবিক’-এ মুসাল্লামের একটি সাক্ষাৎকারও ছাপা হয়েছিল। ওই সাক্ষাৎকারে মুসাল্লাম যা বলেন, প্রকাশিত ভিডিওতেও ঠিক তাই বলেছেন। মুসাল্লাম জানিয়েছিলেন, আইএস’র অস্ত্রভাণ্ডার, ঘাঁটি এবং গোষ্ঠীটির ফিলিস্তিনি সদস্যদের বিষয়ে ইসরায়েলকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যই তিনি এতে যোগ দিয়েছেন। ২০১৪ সালের অক্টোবরে আইএস’র হয়ে লড়াই করতে মুসাল্লাম সিরিয়া যান।