দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের ভেতরের সবকিছুই এক্স-রের মতোই দেখতে পান এক নারী! রাশিয়ায় এমন এক বিষ্ময় বালিকার আবিষ্কারে হতবাক বিশ্ববাসী।
একদিন অনেকেই ভাবতো, সত্যিই ভালো হতো, যদি চিকিৎসকরা রোগীদের শরীরের ভিতর পর্যন্ত পুরোপুরি দেখতে পেতেন। এক্স-রে করার খরচ, সময় এবং ঝামেলা কোনো কিছুই পোহাতে হতো না তাদের! মানুষের সেই ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে। রাশিয়ায় এমন এক বিষ্ময় বালিকার খোঁজ পাওয়া গেছে। তাই অনেককেই এই ঝামেলা এখন ভোগ করতে হচ্ছে না নাতাশা নামে ওই বালিকার সুবাদে।
রাশিয়ার ওই বালিকা বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি যে মানব দেহের শরীরের ভিতর পর্যন্ত দেখতে পান। ফলে ডাক্তারি কাজে তিনি অনেক মানুষকে সাহায্য শুরু করছেন। সংবাদ মাধ্যম বলেছে, শুধু দেখাই নয়, কোনো অঙ্গে সমস্যা থাকলে সেটিও বুঝতে পারেন নাতাশা।
নাতালিয়া নিকোলায়েভনা দেমকিনা ওরফে নাতাশা ১০ বছর বয়স হতে এই ‘দিব্যদৃষ্টি’র সত্য উদঘাটন করেন ১৯৯৭। একদিন সকালে সে তার মাকে দেখে আঁতকে ওঠেন। কারণ হলো মায়ের শরীরের ভিতরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাতাশা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিলেন।
নাতাশাকে নিয়ে প্রথম ২০০৪ সালে ডিসকভারি চ্যানেল একটি তথ্যচিত্রও বানায়। মার্কিন মুলুকে নিয়ে গিয়ে রীতিমতো পরীক্ষাও চালানো হয় নাতাশার ওপর।
নাতাশা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমার দুই রকমের দৃষ্টিই রয়েছে। একটি স্বাভাবিক, অন্যটি এক্স-রের মতো স্বচ্ছ। আর এই দুটির মধ্যে পরিবর্তন আনতে আমার তেমন বিশেষ কিছুই করতে হয়না। শুধু একটু মন দিয়ে ভাবতে হয়। তাহলেই আমি মানব দেহের ভিতর পর্যন্ত সমস্ত কিছু অনায়াসে দেখতে পাই।’
নাতাশা রোগ নির্ণয় সম্পর্কে বলেছেন, ‘রোগ কীভাবে নির্ণয় করতে পারি সে সম্পর্কে আমার পরিষ্কার কোনো ধারণা নেই। তবে কোনো অঙ্গে কারো সমস্যা থাকলে তা হতে একটি বিশেষ রেডিয়েশন অনুভব করি।’ তবে তার এই দিব্যদৃষ্টি শুধুমাত্র দিনের বেলাতেই কার্যকর থাকে বলে জানা যায়।